ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তনু হত্যাকাণ্ড

উকিল নোটিসের জবাব দিয়েছেন ৩ চিকিৎসক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২ জুন ২০১৬

উকিল নোটিসের জবাব দিয়েছেন ৩ চিকিৎসক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১ জুন ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্তের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উকিল নোটিসের জবাব দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে ৩ জন চিকিৎসক আইনজীবীর মাধ্যমে ওই নোটিসের জবাব দেন। চিকিৎসকরা হলেন- কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন-উজ-জামান চৌধুরী, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা ও তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তকারী কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ শারমিন সুলতানা। তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব এবং প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ না থাকাসহ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১৯ মে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট সালমা আলী কুমেক অধ্যক্ষ ডাঃ মহসিন-উজ-জামান চৌধুরী, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী ডাঃ শারমিন সুলতানার কাছে উকিল নোটিস পাঠান। তাদের ওই নোটিস প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য উল্লেখ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাধ্যমে নোটিসের জবাব পাঠানো হয়েছে বলে মেডিক্যাল বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ কিংবা আমি জড়িত ছিলাম না। এছাড়া অধ্যক্ষ ময়নাতদন্তের কোন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন না। তিনি আরও বলেন, উকিল নোটিসে যেসব প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে সেসব প্রশ্নের যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রথম ময়নাতদন্তকারী ডাঃ শারমিন সুলতানা। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মহসিন-উজ-জামান চৌধুরী বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্তের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই, তাই উকিল নোটিসের জবাবে সেভাবেই আমার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
×