ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিন্ধু সভ্যতা ৫৫০০ বছর নয়, ৮০০০ বছরের পুরনো

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৩০ মে ২০১৬

সিন্ধু সভ্যতা ৫৫০০ বছর  নয়, ৮০০০ বছরের  পুরনো

সিন্ধু সভ্যতা পাঁচ হাজার ৫০০ বছর নয়, আট হাজার বছরের পুরনো। ভারতের আইআইটি খড়গপুর ও আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার যৌথ গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে। প্রাচীন মিসরীয় ও মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার আগেই গড়ে উঠেছিল এই সভ্যতা। একে প্রি-হরপ্পা মানবসভ্যতা বলা যেতে পারে। হরপ্পা সভ্যতা শুরু হয়েছিল সিন্ধু সভ্যতার থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে। নেচার পত্রিকায় বুধবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শুধুমাত্র আবহাওয়ার ব্যাপক তারতম্যের কারণে একটা বৃহত্তর সভ্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আইআইটি খগড়পুরের জিওলজি ও জিওফিজিক্সের প্রধান অনিন্দ্য সরকার বলেছেন, আমরা সভ্যতার কিছু পুরনো মৃৎশিল্প উদ্ধার করেছিলাম। সেগুলো অপটিক্যালি স্টিমুলেটেড লুমিনেশন্সে প্রক্রিয়া করে দেখা যায়, প্রায় ছয় হাজার বছর আগের পরিণত হরপ্পা সভ্যতার প্রথম দিককার নিদর্শন এগুলো এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগুলো আট হাজার বছরের পুরনো প্রাক হরপ্পা সভ্যতার হকড়া পর্যায়ের বলে মনে হয়। গবেষকরা প্রমাণ করেন যে, ভারতের বেশ কিছু অংশে, যেমন হরিয়ানার ভিররানা ও রাখিগাড়হি, অন্য অংশে পাকিস্তানের হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে এবং ভারতের লোথাল, ধোলাভিরা ও কালীবনগাঁ অঞ্চলগুলোতে এই সভ্যতার বৃদ্ধি হয়েছিল। ভিররানা এলাকায় বড় অংশ জুড়ে খননকাজ চালিয়ে বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়। পশুর দাঁত, হাড়, গরু, ছাগল, হরিণ ও কৃষ্ণসারমৃগের শিং প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সাংকেতিক লিপি উদ্ধার ও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের। গবেষকদের দাবি, সিন্ধু সভ্যতার বিরাট অংশ বিস্তার লাভ করেছিল মূলত ভারতেই। বিলুপ্তপ্রায় সরস্বতী নদী ও ঘা¹র-হকরা নদীর তীর ঘেঁষে সিন্ধু সভ্যতার বিস্তৃতি লাভ করেছিল। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার বলে মনে করেন গবেষকরা। Ñটাইমস অব ইন্ডিয়া।
×