ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৯ মে ২০১৬

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার অপরাধ ও বিচারের বিষয়ে আব্দুল কাদের মোল্লা : যুদ্ধাপরাধ, বিচার ও ফাঁসি শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন কাদের মোল্লার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম সাক্ষী মোমেনা আক্তার। পারিজাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির লেখক সৈয়দ জাহিদ হাসান ও সোনিয়া হক। বইটির পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। এর মূল্য ৮০০ টাকা। এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাত্তরের ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার করিব, ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. এম এ হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য নুহ- উল আলম লেনিন, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশীদ, সেক্টর ফোরামের হারুন হাবিব,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সম্বয়ক এম এ হান্নান খান ও এম সানাউল হক প্রমুখ। সভাপতির বক্তৃতায় ড. আনিসুজ্জামান বলেন, লেখকদ্বয় Ÿইটি লিখে জাতীয় কর্তব্য পালন করেছেন। ৫টি অধ্যায়ে রচিত বইয়ে প্রথম অধ্যায়টি লেখকদের রচিত। অন্য ৪টি অধ্যায় সংকলিত। আগামীতে গবেষণার জন্য বইটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। আমি আশা করব পরবর্তীতে অন্যান্য অপরাধীদের বইও পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আজ সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধীদের বিচারের জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা শেখ হাসিনার জন্যই হয়েছে। অন্য কেউ হলে তা পারত না। আজ অনেকেই বাংলাদেশের মজুদ অর্থনীতিকে পছন্দ করে না। বিদেশী অপশক্তির সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা চলছে। আজ বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান যখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাইছে তখনই আমাদের মনে করা উচিত আমরা সঠিক কাজ করছি। আজ যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ওপর যে দুজন তরুণ লেখক বইটি লিখেছেন তা সুন্দর হাতে নেয়ার মতো বই। কাদের মোল্লা ছিল এক জঘন্য ব্যক্তি। আমার নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে বিভৎস ঘটনা ঘটিয়েছে কাদের মোল্লা। সেখানে ৫৭ জনকে হত্যা করা হয়। অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির বলেন, এই প্রথমবার যারা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাড়িত তারা সবাই একত্রিত হয়েছেন। এই বইতে বেশ কিছু ভুলত্রুটি আছে। তিন শত পৃষ্ঠার বইয়ে একবারও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নাম নেয়া হয়নি। সুফিয়া কামালের তদন্ত কমিশনের কথা উল্লেখ নাই। আমি আশা করব দ্বিতীয় সংস্করণে এ তথ্যগুলো যাতে সংযোজন করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য নুহ- উল আলম লেনিন বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রথম শুরু করেছিলেন বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর যুদ্ধাপরাধ বিচার বন্ধ করেন জিয়াউর রহমান। এই বইটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। আগামীতে বইটি ইতিহাসের দালিল হিসেবে কাজ করবে। শেখ হাসিনার মতো নেত্রী না থাকলে এই বিচার সম্ভব হতো না। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে কাদের মোল্লার দ- কার্যকর করা হয়।
×