ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় যুগান্তকারী ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৭ মে ২০১৬

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় যুগান্তকারী ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, সরকার বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ করতেই সংসদের হাতে অপসারণ ক্ষমতা দিতে চাচ্ছে। কিন্তু ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চ আদালত সম্পর্কে জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত হবে। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতের এ রায়কে সাধুবাদ জানাই। রিজভী বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধান যখন প্রণীত হয়, তখন সংসদের ওপর বিচারপতিদের অসদাচরণের জন্য অভিশংসনের ক্ষমতা ছিল। পরবর্তীতে যখন বাকশাল গঠিত হয়, তখন এটা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপরে ন্যস্ত করা হয় বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা। এখানে দলীয় প্রভাবের কোন সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় বিরোধী দল ও মত দমন করতে চায়। নিজেদের ইচ্ছা পূরণের জন্যই তারা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল। রিজভী বলেন, সংসদের ওপর বিচারপতি অভিশংসনের ক্ষমতা থাকলে যে দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে তারা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। রাষ্ট্রপতির হাতে থাকলেও সেটি হয়। কারণ রাষ্ট্রপতিও একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা নির্বাচিত হন, যে দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে। তাই সেখানেও এটির অপব্যবহার হতে পারে। অভিশংসনের ক্ষমতা সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকলে বিচারপতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। তাদের অসদাচরণের বিষয়টি অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে জুডিশিয়াল মাইন্ড নিয়ে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে যারা থাকবেন তারা দেখবেন এবং সত্যিকার অর্থে সেখানে ন্যায়বিচারের পদক্ষেপ নেয়া হয়। সুরঞ্জিত এখন ইসলামী চিন্তাবিদ স্টাইলে কথা বলেন -শাহ মোয়াজ্জেম ॥ আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, রেলমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কালো বিড়াল উপাধি নিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছেন। আর এখন তিনি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ স্টাইলে কথা বলেন। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর প্রথম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। নাসিরউদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। প্রধামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘পিন্টুকে হত্যা ও ইলিয়াস আলীকে গুম করার মাধ্যমে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এজন্য আপনাদের একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ দেশে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিও একজন মেয়ে। যখন দেখেন কোন মেয়ের ইজ্জত লুণ্ঠিত হচ্ছে তখন কোথায় যায় আপনার মানবাধিকার? ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে যারা ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিল তাদের নিয়ে কেবিনেট তৈরি করায় আপনার বাবার আত্মা আপনাকেও ক্ষমা করবে না।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম প্রমুখ।
×