ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ইট ভাট‍া মালিকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১ মে ২০১৬

বাঁশখালীতে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ইট ভাট‍া মালিকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ইট ভাটা মালিকের গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুর ২ টার দিকে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে ৬০-৭০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ ১৯ সহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সৌরভ দাশ ১৯ জন গুলিবিদ্ধকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে বলে জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে। এদিকে এ ঘটনাকে পূর্ব শত্র“তার জের হিসেবে উল্লেখ করেছে থানা পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়ার ইলশা গ্রামের ধানি জমির উপর নির্মিত চৌধুরী ব্রিক্স ও মদিনা ব্রিক্স। চৌধুরী ব্রিক্সের মালিক মর্তুজ আলী চৌধুরী ও মদিনা ব্রিক্সের মালিক নুরুল আবছার (প্রঃ মদিনা আবছার) এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে ইট ভাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধ নিয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে উভয় গ্র“প তাদের অধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার দাপট প্রদর্শনে ওই এলাকায় জড়ো হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষে ৬০-৭০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটিয়েছে উভয় পক্ষের লোকজন। এতে গুলিবিদ্ধ হয় উভয় পক্ষের ২৫ জনেরও অধিক লোক। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য এলাকায় অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দিন দুপুরে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি গুলিবিনিময়ের সময় সাধারণ জনগণের আতংক পড়েছে। ইট ভাটার মালিকগণ প্রকাশ্যে কিভাবে অস্ত্রের মহড়া চালায় এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর। সাধারণ জনগণ অচিরেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানায়।
×