স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) তিনটি ম্যাচ আছে আজ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহীমের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের মুখোমুখি হবে শাহরিয়ার নাফীস, ইমরুল কায়েসদের ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব খেলবে মেহেদী হাসান মিরাজের কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির (সিএ) বিপক্ষে এবং বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে জহুরুল ইসলাম অমির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও মুমিনুল হকের ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব লড়াই করবে।
তিন ম্যাচের মধ্যে মোহামেডানের ম্যাচের দিকেই সবার দৃষ্টি থাকছে। ঐতিহ্যবাহী দল যে। হার না জয় দিয়ে দলটি এবার লীগ শুরু করে, সেদিকেই থাকছে সবার নজর। মোহামেডানে মুশফিক ছাড়াও নাঈম ইসলাম, এনামুল হক জুনিয়ররা আছেন। ব্রাদার্সে ইমরুল, শাহরিয়ারের সঙ্গে তুষার ইমরান, নাফীস ইকবালরা রয়েছেন। অভিজ্ঞ দলই বলা চলে ব্রাদার্সকে। মোহামেডান যে দল গড়েছে, তারচেয়ে খানিক শক্তিশালীই মনে হচ্ছে। এখন মাঠে এর প্রভাব কতটা দেখাবে দলটি, সেটাই এখন দেখতে হবে।
মোহামেডান ও ব্রাদার্স ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েও উঠতে পারে। একদিকে জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক আছেন। যার অভিজ্ঞতা মোহামেডানকে জিতিয়েও দিতে পারে। সঠিক পরিচালনায় মোহামেডান লীগে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলেও নিতে পারেন। কিন্তু নেতৃত্বে যেই থাক, ব্রাদার্স দলটি অভিজ্ঞতায় ভরপুর। এ অভিজ্ঞতার কাছে আরিফুল ইসলাম, সৈকত আলী, ইজাজ আহমেদ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, শুভাশিষ রয়দের মতো তরুণরা মাতও খেয়ে যেতে পারে।
শেখ জামাল ও কলাবাগান সিএ’র ম্যাচটিও জমে ওঠার সম্ভাবনা আছে। শেখ জামালের মাহমুদুল্লাহ ছাড়াও সোহাগ গাজী, আরাফাত সানি, মার্শাল আইয়ুব, মুক্তার আলী, শফিউল ইসলাম, নাজমুস সাদাতরা রয়েছেন। অভিজ্ঞ ও তরুণদের নিয়েই দলটি গড়া হয়েছে। শক্তিশালী দলও। সেই তুলনায় কলাবাগান সিএ দলটি ‘সাদা-মাটা’ দলই। অনুর্ধ-১৯ দলের অধিনায়ক মিরাজ, মাহমুদুল হাসান লিমন, ইরফান শুক্কুর, বিশ্বনাথ হালদার, মাইশুকুর রহমান, আবু জায়েদ রাহী, নূর হোসেন মুন্নারা আছেন। যেন তরুণ একটি দলই। এ দলটি নিয়েই শেখ জামালকে হারানোর স্বপ্নও নিশ্চয়ই দেখছে কলাবাগান সিএ? তা কি সম্ভব হয়ে উঠবে! তা আজই বোঝা যাবে। এবার লীগে যে কয়টি দল ‘সাদা-মাটা’ হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দল হচ্ছে কলাবাগান সিএ। আর যে কয়টি দল শক্তিশালী হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম শেখ জামাল। বোঝাই যাচ্ছে, দুইদলের মধ্যকার ফেবারিট দলটি শেখ জামালই। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি একতরফাও হয়ে যেতে পারে। ভিক্টোরিয়াতে মুমিনুলের সঙ্গে নাদিফ চৌধুরী, সোহরাওয়ার্দী শুভ, ধীমান ঘোষ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ডলার মাহমুদরা আছেন। কিন্তু রূপগঞ্জে জহুরুলের সঙ্গে রয়েছেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, আসিফ আহমেদ রাতুল, আবু হায়দার রনি, জুনায়েদ সিদ্দিকীরা। ক্রিকেটারদের নামগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আসলে কোন দলটি শক্তিশালী। স্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী দলের দিকেই পাল্লাটা ভারি থাকবে। সেই দলটি রূপগঞ্জই। এখন দেখা যাক, ফেবারিট তকমাটি আজকের ম্যাচে কাজে লাগাতে পারে কিনা রূপগঞ্জ।
তবে ফতুল্লা ও বিকেএসপির ম্যাচের চেয়ে মিরপুরে যে মোহামেডান-ব্রাদার্স ম্যাচ হবে সেদিকেই সবাই পাখির চোখ করে রাখছেন। ব্রাদার্সের ইমরুল কায়েসতো নিজেদের জয়ও দেখছেন। ম্যাচটি নিয়ে বলেছেন, ‘আমি বলব মোহামেডান অবশ্যই ভাল একটি সাইড। আমাদের সাইডও ভাল। আশাকরি কাল (আজ) যদি আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারি ফল অবশ্যই আমাদের দিকেই আসবে। কিন্তু চেষ্টা করব কন্ডিশন এবং সবকিছু মিলিয়ে যেহেতু প্রথম ম্যাচ, উইকেটটা দেখতে হবে, তারপর চিন্তা করতে হবে কিভাবে ব্যাটিং করা যায়। তো আমরা চেষ্টা করব ভাল ক্রিকেট খেলার।’ দেখা যাক এখন কতটা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারেন ইমরুল। ব্রাদার্সই বা কতটা কি করতে পারে। মোহামেডানকে আটকে দিতে পারে কিনা।