ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পানি আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২২ এপ্রিল ২০১৬

পানি আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে

অনলাইন ডেস্ক॥ কয়েক বছর ধরে ভারতে চলছে তীব্র খরা। পানির জন্য রাজ্যে রাজ্যে হাহাকার। নিকটতম উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে কয়েক কিলোমিটার দূরে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এমন বাস্তবতায় আরেকটি দুঃসংবাদ শোনানো হলো টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পানি আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমে যাচ্ছে। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ দৈনিক ব্যবহারের জন্য একজন ব্যক্তি পানি পাবেন তিন হাজার ১২০ লিটার। ভারতের কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ পানি বোর্ড সিজিডব্লিউবির হিসাব অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে দেশটিতে দৈনিক ব্যবহারের জন্য জনপ্রতি পানি ছিল ১৪ হাজার ১৮০ লিটার। ১৯৯১ সালে তা কমে অর্ধেকের নিচে নেমে যায়। ২০০১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে জনপ্রতি ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১২০ লিটার। অর্থাৎ ১৯৫১ সালের তুলনায় ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমেছে ৩৫ শতাংশের বেশি। ২০২৫ সাল নাগাদ মজুদ কমে দাঁড়াবে ২৫ শতাংশে। আর ২০৫০ সালে তা দাঁড়াবে ২২ শতাংশে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৃষ্টি কম হওয়া, নদী, হ্রদ ও কুয়ার পানি সেচকাজে ব্যবহার, সচেতনতার অভাব, সবুজায়ন কমে যাওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লিখিত বাস্তবতায় কৃত্রিমভাবে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ বাড়াতে মহাপরিকল্পনা করেছে ভূগর্ভস্থ পানি বোর্ড সিজিডব্লিউবি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সেচভিত্তিক চাষাবাদ, সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নগরের জীবনযাত্রার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে গৃহস্থালি প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশের বেশি মেটানো হয় ভূগর্ভস্থ পানি থেকে। এ ছাড়া শহরাঞ্চলে ৫০ শতাংশ ও সেচকাজে ব্যবহৃত ৫০ শতাংশ পানিই ভূগর্ভস্থ। এসব কারণে পানির এ মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ভারতে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানির চাহিদা। কিন্তু বাড়ছে না জোগান। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন চাহিদার চেয়ে পানির জোগান কমে যাবে।
×