ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেরা অবস্থানে ফিরতে চান পিয়ারসন

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২০ এপ্রিল ২০১৬

সেরা অবস্থানে ফিরতে চান পিয়ারসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক হার্ডলস চ্যাম্পিয়ন স্যালি পিয়ারসন অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু গত বছর জুনে মারাত্মক ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। বাজে ধরনের সেই ঘটনায় দুটি হাড় ভেঙ্গে ছিল এবং কব্জির হাড় সরে গিয়েছিল। এরপর থেকেই ট্র্যাকের বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু আসন্ন অলিম্পিকের আগে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ভাল একটি অবস্থানে ফিরতে চাইছেন স্যালি। আরেকটি অলিম্পিক স্বর্ণ জিততে নিজের সেরা অবস্থানে ফিরতে উন্মুখ স্যালি। লন্ডন অলিম্পিকে ১০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অসি এ মহিলা হার্ডলার। কিন্তু জুনে রোম ডায়মন্ড লীগে যে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন সেটার পর থেকে আর কোন প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি। দীর্ঘ এক বছর পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। ২৯ বছর বয়সী স্যালি পরশুই শুরু করেছেন অনুশীলন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হার্ডলসের ব্লকগুলোর ওপর দিয়ে দৌড়ানো শুরুর পর এটাই ছিল আমার প্রথম সেশন। সবকিছুই ভাল বোধ করছি। কিন্তু এখন আমাকে শুধু দ্রুততর হতে হবে। দ্রুত থেকে যতটা সম্ভব দ্রুততর হয়ে উঠতে হবে যেন আমি জিততে পারি।’ অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় এ এ্যাথলেট প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নিজেকে পুরোপুরি পুরনো ছন্দে ফিরে পাওয়ার। তিনি বিশ্বাস করেন যে রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে নিজের সেরা অবস্থানে পৌঁছেই নামতে পারবেন। এ বিষয়ে স্যালি বলেন, ‘আগের বছর যখন আমি হার্ডলস শুরু করেছিলাম কিছুটা জড়তা ছিল। নিজের মধ্যে কিছুটা দুর্বলতাও বোধ করছিলাম। কিন্তু এখন নিজেকে সত্যিই খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।’ ২০১১ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান এ্যাথলেটদের জন্য নিজের ডিজাইনে স্যালি তৈরি করেছেন অনুশীলনের প্রয়োজনীয় পোশাক। আগামী মাসেই স্যালি প্রতিযোগিতায় ফেরার আশা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আনঅফিসিয়াল রেস আছে সামনে। সে সবের পর ইউরোপে যাব এবং রিও উপলক্ষে প্রস্তুতি নেয়ার শুরু করব।’ এবার অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ফিরতে চেয়েছিলেন স্যালি। কিন্তু পায়ের পাতায় ব্যথা অনুভব এবং পায়ের আরও সমস্যার কারণে সেটা পারেননি। গত মাসে জার্মানিতে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরেছেন তিনি। ডক্টর হ্যান্স উইলহেম মুলার-উলফার্ট জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টেরও চিকিৎসা করেছেন। সেখান থেকেই তিনি নিশ্চিত হয়েছেন অলিম্পিকে যাওয়ার আগেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন তিনি। স্বাস্থ্যগত বিষয়ে ইতিবাচক কথাই বলেছেন তাকে উলফার্ট।
×