ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণে আপ্রাণ চেষ্টা উন্নয়নশীল দেশগুলোর

বিশ্বব্যাংক ঋণের চাহিদা সঙ্কটের পর্যায়ে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

বিশ্বব্যাংক ঋণের চাহিদা সঙ্কটের পর্যায়ে

বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণের চাহিদা আর্থিক সঙ্কটের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বলতা মোকাবেলায় নীতি-কৌশল নির্ধারণে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর গার্ডিয়ানের। ওয়াশিংটনে এ সপ্তাহ শেষে অর্ধ-বার্ষিক বসন্তকালীন বৈঠককে সামনে রেখে ব্যাংক বলেছে, ২০১৩ থেকে চার বছরে ১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি (১০ হাজার ৫শ’ কোটি পাউন্ড) ঋণ দেয়ার প্রত্যাশা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের। এ সময়কালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকা- প্রত্যাশার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। ব্যাংক বলেছে, এ বছরের শুরু থেকেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে অবনতি দেখা দেয়ার পর ২০১৬ সালে ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তা হুমকির মধ্যে পড়েছে এর মধ্যেই। ব্যাংক মধ্যআয়ের ও সর্বাপেক্ষা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর প্রতি অর্থনৈতিক সাহায্য বৃদ্ধি করছে। যে সকল উন্নয়নশীল দেশ পণ্য রফতানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল সে সকল দেশ চীনের শিল্প উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার কারণে গত দু’বছর অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, আমরা এমন একটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবস্থান করছি যেখানে প্রবৃদ্ধি দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে ভাবা হচ্ছে। তাই, এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য আমাদের ঐতিহ্যগত ভূমিকা পালন করছে বিশ্বব্যাংক। তিনি বলেন, বিশ্বে ২০৩০-এর মধ্যে চরম দারিদ্র্য অবসানে আমাদের রয়েছে এক ঐতিহাসিক সুযোগ। কিন্তু এ লক্ষ্যার্জনে আমাদের সামনে একমাত্র পথ হচ্ছে মধ্য-আয়ের থেকে শুরু করে নিম্ন-আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোর দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ সৃষ্টি করা। এ দেশগুলো ২০০৮-০৯ বৈশ্বিক সঙ্কটের সময় বাণিজ্য প্রবাহ ও শিল্প উৎপাদন পড়ে যাওয়ায় সঙ্কট উত্তরণে জোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। দেশগুলো তখন যে মন্দাবস্থায় চলে গিয়েছিল তা ১৯৩০-এর মহামন্দাবস্থার সমপর্যায়ে ছিল। ব্যাংক বলছে, পরবর্তীকালে চাহিদা ২০১৩ সালে নেমে আসে। কিন্তু ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংক তাই ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি সহজ শর্তে ঋণ যোগান দিয়েছে।
×