ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী-শাশুড়ি আটক

পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১০ এপ্রিল ২০১৬

পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ের পল্লীতে স্বামী ও শাশুড়ির নির্মম নির্যাতন এবং শ^াসরোধে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়। পুলিশ ঘাতক স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নিহত গৃহবধূর নাম মালেকা আক্তার মালা (২২)। স্বামীর নাম দুলাল। বাড়ি সদর উপজেলার গোফাপাড়া গ্রামে। মালা দুলালের ২য় স্ত্রী। তাদের সাত মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। বর্বরোচিত ও নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। পুলিশ শনিবার সকালে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, রিক্সাভ্যান চালক দুলালের প্রথম স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেলে প্রায় তিন বছর আগে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের অধিকারীপাড়া এলাকার ওমর আলীর মেয়ে মালেকা আক্তার মালাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে দুলাল ও তার মা হাওয়া বিবি মালাকে মারপিটসহ নির্যাতন করে আসছিল। শুক্রবার রাতে মালাকে স্বামী ও শাশুড়ি বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হলে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মালার মৃত্যু হয়। গাঁজা না খাওয়ায় শিশুকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৯ এপ্রিল ॥ গাঁজা সেবন না করায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে অপর এক শিশু। শুক্রবার রাতে হোসনাবাদ সরকারী প্রাইমারী স্কুল ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই দুই শিশুকেই আদালতে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, দাশপাড়া ইউপির দাশপাড়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে হোসনাবাদ সরকারী প্রাইমারী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র মিরাজ (৯) ও একই গ্রামের সোহরাব ফকিরের ছেলে সাখায়াত হোসেন (১৪) ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হোসনাবাদ মুন্সী বাড়ির সামনে মাদ্রাসা মাঠে মাহফিল শুনতে যায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে সাখায়াত জরুরী কাজের কথা বলে মিরাজকে হোসনাবাদ সরকারী প্রাইমারী স্কুলের কাছে ব্রিজের ওপর নিয়ে যায় এবং গাঁজা সেবন করতে বলে। মিরাজ গাঁজা সেবনে রাজি না হওয়ায় সাখায়াত তাকে খাল পাড়ে নিয়ে জামা কাপড় খুলে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় মিরাজের চিৎকার শুনে লোকজন এসে তাকে কাদা মাখা বস্ত্রবিহীন অবস্থায় খাল থেকে উদ্ধার করে এবং সাখাওয়াতকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার দুই শিশুকেই পটুয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
×