ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ফুটবল বাঁচাও আন্দোলন

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৩ মার্চ ২০১৬

ঢাকায় ফুটবল বাঁচাও আন্দোলন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। গত তিন বছরের বাজেট পাস করানোই হচ্ছে এই সভার উদ্দেশ্য। কিন্তু এই সভায় ঢাকার বেশ কটি ক্লাব যোগ দেয়নি। তারা ঢাকায় একটি পাঁচ তারা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাফুফেতে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে। বাজেট পাসের নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ‘ফুটবল বাঁচাও’ সেøাগান দিয়ে বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মেলনে আগত সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও প্রখ্যাত ফুটবল সংগঠকরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ আট বছরে সালাউদ্দিন ও তার কমিটি দেশের ফুটবলকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছেন কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি করে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলাররা : জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, গোলাম সারওয়ার টিপু, শামসুল আলম মঞ্জু, আশরাফউদ্দীন আহমেদ চুন্নু, খন্দকার ওয়াসিম ইকবাল, কায়সার হামিদ, শেখ মো. আসলাম, রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব, আবদুল গাফ্ফার, শফিকুল ইসলাম মানিক, মাসুদ রানা, আলমগীর হোসেন, সাইফুর রহমান মনি, জালালউদ্দীন, মুরাদ আহমেদ মিলন, মোশাররফ বাদল, কোহিনূর, মো. মহসীন, রিয়াজ উদ্দিন, বখতিয়ার হোসেন। সংগঠকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মনজুর কাদের, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, মনজুর হোসেন মালু, আবু হোসেন চৌধুরী প্রিন্স, আশফারুজ্জামান সোহরাব, নাসিরুল ইসলাম মল্লিক পিন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেখ জামাল ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদেরকে বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানান ফুটবলাররা। এ প্রসঙ্গে নিজের অসম্মতির কথা জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমি বাফুফের কোন পদের জন্য লালায়িত নই। আমি ফুটবলপ্রেমী। ফুটবলের জন্য কাজ করে যাবো। বাফুফে সারাদেশে জেলা ফুটবল আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে। বাফুফেতে সালাউদ্দিনের কমিটি আট বছরেও একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা দাঁড় করাতে পারেনি। শুধু নিজেদেরটা ছাড়া। গত কয়েক বছরে ফিফা-এএফসি থেকে বাফুফে ১০০ কোটি টাকা পেয়েছে। মহিলা ফুটবল পেয়েছে ১৪ কোটি টাকা। ওই টাকা কোথায় গেল? আসলাম ছাড়া বাফুফের সব কর্মকর্তাই অসৎ! ফুটবল কোন পণ্য নয় যে, বাজার থেকে কিনে রান্না করে খেয়ে ফেললেই হবে।’ কাদের আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো যে তার নাম ভাঙিয়ে আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে যেন কেউ কোন সুবিধা না নেয়। তিনি যেন এ ব্যাপারে অবগত থাকেন।’ আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেন, ‘মাহফুজা আক্তার কিরণ কিভাবে বাড্ডা জাগরণীর কাউন্সিলরশিপ নিয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। এটা বড় ধরনের দুর্নীতি। ফ্রাঞ্চাইজি লীগ নিয়ে ইউকে সকার ক্লাব বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করে পাঁচ বছরের জন্য ১০০ কোটি টাকা দিতে চাইলেও বাফুফে চুক্তি করলো সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে। ৫ বছরের জন্য মাত্র ৩৫ কোটি টাকায়!’ সাব্বির বলেন, ‘বাফুফের নির্দিষ্ট কোন বর্ষপঞ্জিকা নেই। কেউ জানে না কবে কি টুর্নামেন্ট হবে। এক প্রিমিয়ার লীগ দিয়েই বাফুফে টাকা আনছে এবং সেই টাকা গত আট বছর ধরে লুটপাট করে খেয়েছে। অদক্ষতা প্রমাণিত হওয়ার পরও সালাউদ্দিনরা আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়, এদের লজ্জা নেই!’ কায়সার হামিদ বলেন, ’৭০ থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত ফুটবলের যে জনপ্রিয়তা ছিল, তা আজ আর বিন্দুমাত্র নেই। বর্তমান কমিটি ফুটবলকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে। এদের সরে দাঁড়ানো উচিত। আমরা সবাই সম্মিতিভাবে কাজ করলে ফুটবলকে বাঁচানো সম্ভব। মঞ্জুর হোসেন মালু বলেন, ‘আমরা সালাউদ্দিনকে যে দৃষ্টিকোণ থেকে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত করেছিলাম পরবর্তীতে তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তিনি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, অনিয়ম করেছেন। আমরা আসলে খাল কেটে কুমির এনেছিলাম!’ শামসুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘যে চুন্নু সারাজীবন মাঠে আমাকে ফাউল করেছে, তার সঙ্গেই আজ আমি ফুটবল বাঁচানোর আন্দোলনে শামিল হয়েছি। বাফুফে চট্টগ্রামে যে ইজিএম করেছে, সেটা আসলে ইজিএম না। এটা ইএমএফএম (ইমার্জেন্সি মানি ফ্রর্ডিং মিটিং)।
×