ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী সংগঠনে ভিড়ে যাওয়ার আশঙ্কা

জার্মানিতে ১ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী নিখোঁজ

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জার্মানিতে ১ লাখ ৩০ হাজার  শরণার্থী নিখোঁজ

জার্মানিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি শরণার্থীকে। দেশটির পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তরকালে সরকারের পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের সরকার জানিয়েছে, গত বছর নথিভুক্ত ১১ লাখ শরণার্থীর ১৩ শতাংশ বা ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশিসংখ্যকের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। শরণার্থীদের থাকার জন্য সরকারীভাবে তৈরি ক্যাম্পগুলোতে নিখোঁজ ব্যক্তিরা কখনও আসেনি বলে জানা গেছে। তবে নিখোঁজ শরণার্থীর এই সংখ্যা নিয়ে চ্যান্সেলরের দফতরের সঙ্গে একমত নয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে হারানো শরণার্থীর সংখ্যা এন্ট্রি করার সময় ভুলক্রমে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনা যাই হোক, হিসাবের বাইরে থাকা শরণার্থীরা ইসলামী চরমপন্থী অথবা কোন সংবদ্ধ অপরাধী চক্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। অপরাধী চক্রের লোকজনও অনেকসময় শরণার্থীর বেশে ঢুকে থাকে। হারিয়ে যাওয়া ১২ জন শরণার্থীকে জার্মানির কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েছিল এ রকম একটি খবর অসমর্থিত প্রকাশের দুই মাস পর এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী হরিয়ে যাওয়ার খবরটি এলো। ধারণা করা হয়েছিল, ওই শরণার্থীরা ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে জার্মানিতে ঢুকেছিল। প্যারিস হামলাকারীরা অনেকটা যে কৌশলে ফ্রান্সে ঢুকেছিল। বিরোধী বাম দলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নিখোঁজ শরণার্থীর এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। প্রশ্নটি ছিল জার্মানিতে ঢোকার পর কত শরণার্থীর আর কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তার জবাবে এই তথ্য প্রকাশ করে ব্যাখ্যাস্বরূপ বলা হয় যে, এরা সম্ভবত অন্য দেশে চলে গেছে অথবা তারা তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান অবৈধভাবে ত্যাগ করেছে। মেরকেলের সরকার সম্প্রতি বাইরে থেকে শরণার্থীদের বিষয়ে নিয়ম-কানুন কঠোর করেছে। অনেককে বাইরেও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কারণে অর্থনৈতিক কারণে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা আত্মগোপনে চলে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র শুক্রবার বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া শরণার্থীর পরিসংখ্যানের মধ্যে কোন নতুন তথ্য নেই। মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এটি দেখে গেছে বিদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের একটি অংশ কখনই তাদের নির্ধারিত আবাসস্থলে যায় না। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে গত এক বছরে বিশালসংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়েছে। শরণার্থীদের একটি বড় অংশের গন্তব্য ছিল জার্মানি। প্রবেশের পর শরণার্থীরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে জার্মানির কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে যথেষ্ট খোঁজ খবর রাখে না বলে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এমন অভিযোগও উঠেছে যে শরণার্থীদের অবৈধ সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে সরকারের কোন কোন কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে ঘুষও নিয়েছেন।
×