ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

২০টি দেশ থেকে বোমার উপাদান যায় আইএস জঙ্গীদের হাতে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

২০টি দেশ থেকে বোমার উপাদান  যায় আইএস জঙ্গীদের হাতে

২০টি দেশের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পাঠানো উপাদান বিভিন্ন মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে গিয়ে বিস্ফোরকে পরিণত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্দেশে কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চের (সিএআর) করা ২০ মাসের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এ সমীক্ষা দেখিয়েছে যে, কেবল, কেমিক্যাল ও অন্যান্য উপাদান সরবরাহের দিকে নজর রাখতে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও কিছু করা দরকার। সমীক্ষায় দেখা গেছে, আইএসের ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসেস’ (আইইডিএস) তৈরিতে ব্যবহৃত সাতশরও বেশি উপাদান তুরস্ক, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশের ৫১টি কোম্পানি উৎপাদন, বিক্রি অথবা গ্রহণ করে থাকে। খবর ইয়াহু নিউজের। খবর ওয়েবসাইটের। জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো এখন ‘কিছু মাত্রায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে’ আইইডিএস উৎপাদন শুরু করেছে। এতে রাসায়নিক সার ও মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সহজলভ্য শিল্প উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে। আইএস ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে রেখেছে। নেটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে এই উভয় দেশের সীমান্ত রয়েছে। তুরস্ক উগ্রপন্থী ওই সুন্নি জঙ্গীগোষ্ঠীটির কাছে অস্ত্র ও বিদ্রোহীদের সরবরাহ রোধ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, আইএসের কাছে সরবরাহের চেইনে দেশটির মোট ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জড়িয়ে আছে। কোনো একটি দেশে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এরপরই আছে ভারত। দেশটির মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান ওই সরবরাহ চেইনের অংশীদার। সাতটি ভারতীয় কোম্পানি অধিকাংশ ডেটোনেটোর, ডেটোনেটিং কর্ড এবং নিরাপত্তা ফিউজ তৈরি করে, এমন প্রমাণ হাজির করেছে সিএআর। এসব পণ্যের সবই সরকারী ছাড়পত্র নিয়ে ভারত থেকে লেবানন ও তুরস্কে রফতানি করা হয়। এছাড়া ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, রুমানিয়া, রাশিয়া, হল্যান্ড, চীন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিকের কোম্পানিও এসব সরবরাহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে। এসব সস্তা ও সহজলভ্য উপাদানের কোন কোনটি রফতানির জন্য সরকারী লাইসেন্সেরও দরকার হয় না। অস্ত্র রফতানির ওপর যেমন নজরদারি করা হয়, এসব উপদান সরবরাহের ওপর তেমনটি হয় না। সিএআর এর নির্বাহী পরিচালক জেমস বেভান বলেন, “ইরাক ও সিরিয়ার আইএস বাহিনী অস্ত্র ও আইডির মতো কৌশলগত পণ্য স্থানীয়ভাবে এবং সহজে সংগ্রহে বেশ আত্মনির্ভরশীল; এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক যে সচেতনতা গড়ে উঠছে সমীক্ষার তথ্যও তা সমর্থন করছে।”
×