ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানদের হারিয়ে চমক আমিরাতের

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আফগানদের হারিয়ে চমক আমিরাতের

স্পোর্টস রিপোর্টার॥ একে একে ১২টি এশিয়া কাপ হয়েছে। সহযোগী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সেরাটি বিভিন্ন আসরে অংশও নিয়েছে। কিন্তু এবারের আসরটি সম্পূর্ণই ভিন্ন। ফরমেটের কথা বাদ দিলে সবমিলিয়ে ১৩তম আসর হলেও টি২০ এশিয়া কাপ এটিই প্রথম। আর এবার বাছাই খেলেই মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের সহযোগী সদস্য দেশকে। সেই বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচেই সবাইকে চমকে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশ্ব ক্রিকেটে ক্রমেই নতুন ক্রিকেট শক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা আফগানিস্তানকে ১৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে তারা। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার জায়ান্ট কিলার আফগানদের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে আমিরাত। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। টস জিতেই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আমিরাত। উদ্বোধনী জুটি উড়ন্ত সূচনা দেয় তাদের। ওপেনার রোহান মুস্তাফা শুরু থেকেই ছিলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও। তিনি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলার পথে আফগান বোলিংকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ৮৩ রানে। তখন সবেমাত্র ৮.৫ ওভার। শুরুর এই দারুন সূচনাই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে আমিরাতকে। পরের দিকে অবশ্য দ্রুত তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছে আফগান বোলাররা। কিন্তু রানের গতি থামেনি। রোহান আমিরাতের পক্ষে টি২০ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস উপহার দেন। তিনি ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করে ফিরে যান। এর আগে আমিরাতের পক্ষে সর্বোচ্চ টি২০ ইনিংস ছিল অধিনায়ক আমজাদ জাবেদের ৭৬। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে আমিরাত। লেগস্পিনার রশিদ খান ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানরা। ১০৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। তবে করিম সাদিক দারুন ব্যাটিং করছিলেন। তিনি একাই আমিরাতের বোলারদের ওপর তা-ব চালিয়ে দলের জয় পাওয়ার আশা জিইয়ে রাখেন। সাদিক ৪৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭২ রান করে ফিরে যাওয়ার পর আর সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। ব্যাটিংয়ে ঝড়গ তোলা রোহান বল হাতেও দারুন ক্যারিশমা দেখিয়ে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। স্কোর॥ আরব আমিরাত ইনিংস- ১৭৬/৪; ২০ ওভার (রোহান ৭৭, শাহজাদ ২৫*, কলিম ২৫, উসমান ২৩*; রশিদ ৩/২৫, হামজা ১/৩২)। আফগানিস্তান ইনিংস॥ ১৬০/১০; ১৯.৫ ওভার (সাদিক ৭২, নবি ২৩, নাজিবুল্লাহ ২১; রোহান ৩/১৯, ফারহান ২/২৮, নাভিদ ২/২৯)। ফল॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা॥ রোহান মুস্তাফা (আরব আমিরাত)। মুস্তাফিজ না থাকাতেই লাহোরের ভরাডুবি! স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবারই প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল)। আর পাকিস্তানের এই ঘরোয়া আসের জায়গা পান বাংলাদেশের চার প্রতিভাবান ক্রিকেটার। কিন্তু দুর্ভাগ্য কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। সাকিব-তামিম-মুশফিকরা খেলে নিজেদের জাত চেনালেও চোটের কারণে যেতেই পারেননি তরুণ প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার। তার না থাকার প্রভাবটা পড়েছে লাহোর কালান্দার্সের পারফর্মেন্সেও। তা স্বীকার করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নিজেই। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ইয়াসির শাহকেও মিস করেছে বলে জানিয়েছেন লাহোর কালান্দার্সের মালিক ফাওয়াদ রানা। মূলত দলের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়েই মুস্তাফিজ-ইয়াসিরের কথা স্মরণ করেছেন ফাওয়াদ। এ বিষয়ে কালান্দার্সের মালিক বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আমরা টুর্নামেন্টের প্লে অফের জন্য কোয়ালিফাই করতে পারিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের না থাকাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে। এছাড়াও ইয়াসির শাহর অভাবও বেশ ভুগিয়েছে আমাদের। আমি বিশ্বাস করি, দল এর চেয়েও ভালো করার সামর্থ্য রাখে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম মুস্তাফিজুরের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেট লিকে নেয়ার জন্য। কিন্তু ততদিনে সেই সুযোগটাও শেষ হয়ে গিয়েছিল।’ তবে লাহোর কালান্দার্সে মুস্তাফিজুর রহমান না থাকলেও বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা সেরা তারকারাই ছিলেন এই দলটিতে। লাহোর কালান্দার্সে পাকিস্তান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আজহার আলির নেতৃত্বে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্র্যাভো, কেভন কুপার, উমর আকমল, আবদুল রাজ্জাক, হাম্মাদ আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। তারকার ছড়াছড়ি থাকলেও মুস্তাফিজুর রহমানের না থাকাটাকেই গুরুত্বসহকারে দেখছেন ক্লাবটির মালিক। তবে মুস্তাফিজুর রহমান না থাকলেও ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান। যদিওবা নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। ক্লার্কের চাওয়া স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অচিরেই অস্ট্রেলিয়া টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ তিন ভার্সনের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই খুব শীঘ্রই অস্ট্রেলিয়া তিন ফরমেটের ক্রিকেটে শীর্ষস্থান দখল করবে। আমরা যদি টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্য ধরে রাখতে পারি, তবে এই সপ্তাহেই দুই ফরমেটে চাওয়াটা পূরণ হয়ে যাবে। সেই সামর্থ্য আমাদের ভালমতোই রয়েছে।’ গত মাসে ঘরের মাটিতে ভারতকে ৪-১এ ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড সফরে ২-১এ হেরে গেলেও অবস্থান ধরে রাখে অসিরা। টেস্টে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে তারা। প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ইনিংস ও ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারায় স্টিভেন স্মিথের দল। আজ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটা ড্র করলেও সিরিজ নিশ্চিত হবে অস্ট্রেলিয়ার। সেই সঙ্গে ভারতকে পেছনে ফেলে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করবে স্মিথ বাহিনী। ক্লার্ক মূলত সেদিকেই ইঙ্গিত করেন। টি২০তে অবশ্য ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে। ঘরের মাটিতে ভারতের কাছে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়ার পর ছোট্ট ফরমেটে দলটি বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে! যদিও ওপরের দিকের দলগুলোর মধ্যে রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান খুবই কম। পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘সময় হয়েছে বিদেশেও ধারাবাহিক ভাল করার। আমার বিশ্বাস স্মিথের নেতৃত্বে সেটি সম্ভব। এই দলটা দারুণ সম্ভাবনাময়।’ উল্লেখ্য, অসিরা দেশের বাইরে সর্বশেষ সিরিজ জিতেছিল সেই ২০১০ সালে, নিউজিল্যান্ডে। ফ্যামিলি সার্কেলে খেলবেন বাউচার্ড স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ভলভো কার ওপেন তথা ফ্যামিলি সার্কেল কাপ। আর এই টুর্নামেন্টে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তরুণ প্রতিভাবান তারকা ইউজেনি বাউচার্ড ও সেøায়ানে স্টিফেন্স। বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্তৃপক্ষ। দুইজনই এর আগে এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন। এবার চতুর্থবারের মতো ফ্যামিলি সার্কেল কাপে অংশগ্রহণ করবেন কানাডার ইউজেনি বাউচার্ড আর সেøায়ানে স্টিফেন্সের জন্য ষষ্ঠ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোবার্ট ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন ইউজেনি বাউচার্ড। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউএস ওপেনের চতুর্থ পর্বেও জায়গা করে নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই কানাডিয়ান তারকা। তবে এর আগের মৌসুমটা ছিল ঐতিহাসিক। বিস্ময় জাগানিয়া পারফর্মেন্স উপহার দিয়েই টেনিস বিশ্বে নিজের আগমনের জানান দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাউচার্ড। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো উইম্বল্ডনের ফাইনালের টিকেটও নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ফ্যামিলি সার্কেল কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও তার পরের বছরে সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন বাউচার্ড। এবার এই টুর্নামেন্ট দিয়েই স্বরূপে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন বাউচার্ড। অন্যদিকে সেøায়ানে স্টিফেন্সকে বলা হয় টেনিসের ‘ছোট্ট’ সেরেনা। ইতোমধ্যে তার প্রমাণও দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই আমেরিকান। বর্তমানে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নাম্বারে থাকা এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় ইতোমধ্যেই বড় বড় সব তারকাকে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছেন। এবার ফ্যামিলি সার্কেল কাপে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। টেনিসের ভবিষ্যত দুই তারকাকে পেয়ে দারুণ সন্তুষ্ট টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সমর্থকরা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবেন বলেও ইতোমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন তারা।
×