ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরাইলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দাবি

সুন্নি আরব দেশগুলো পরমাণু অস্ত্র বানাতে চায়

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুন্নি আরব দেশগুলো  পরমাণু অস্ত্র  বানাতে চায়

ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানকে মোকাবেলা করতে আরব দেশগুলো পরমাণু অস্ত্র পেতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালোন বলেন, তার দেশ মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। মোশে ইয়ালোন বলেন, গত বছর ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির যে পরমাণু চুক্তি হয়েছে তখন সুন্নী আরব দেশগুলোকে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে পুনরায় আশ্বাস দেয়া হয়নি। আর এ কারণেই তারা নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আরব দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্রে সুসজ্জিত হবার প্রস্তুতির লক্ষণ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। ইরান পরমাণু বা এ্যাটম বোমা বানানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ অবস্থায় তারা চুপচাপ বসে থাকতে চাইছে না। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তবে কোন আরব দেশগুলোর সামরিক কর্মকা- ইসরাইল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জর্দানের বাদশার সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। যে দুটি আরব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তার মধ্যে জর্দান অন্যতম। ইসরাইলের সঙ্গে সুন্নি আরব দেশগুলোর কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তারা নেপথ্যে চ্যানেলের মাধ্যমে কথা বলে জানা গেছে এবং ইরানের বিরোধিতার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির সমর্থকদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও রয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিস্তার রোধ করবে। কেননা চুক্তির ফলে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ইয়ালোন বলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার ফলে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং এক পর্যায়ে তারা চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে আসবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর যদি তারা দেখতে পায় যে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তবে চুক্তির শর্ত ভেঙ্গে তারা পরমাণু বোমা বানাবে। এমনকি যদি চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকে সীমিত করে দেয়া হয়ে থাকে তারপরও। চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর করা হয়েছে। ইরান এখন এটির মেয়াদ পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নী দেশগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির বিশাল আকারের তেল সম্পদ পারমাণবিক কর্মসূচীতে সাহায্য করতে পারে। যার সঙ্গে আবার পাকিস্তানের খুবই ভাল সম্পর্ক। পাকিস্তান নিজেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। তারা বিশেষজ্ঞ দিয়ে এ ব্যাপারে সৌদি আরবকে সাহায্য করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও (ইউএই) তেল সম্পদ রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা একটি বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুত কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। যদিও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে কোন প্রমাণ নেই। ব্রিটেনকে ইইউতে রাখতে অনেক কিছু করতে হবে সতর্কবাণী ব্লক প্রেসিডেন্টের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রাসেলসে সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে শুক্রবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যে, ইইউ ব্লক ত্যাগে প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেনকে ঠেকানোর জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছতে এ সম্মেলনে অনেক কিছু করার রয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের। ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে বলা হয়েছে, সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ইইউতে সংস্কার আনার দাবি বাস্তবায়নে কোন সত্যিকার অগ্রগতি হয়নি এ পর্যন্ত। বলা হয়েছে, দু’দিনের এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন বৃহস্পতিবার কোন চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই শেষ হয়ে যায় এবং চুক্তির আশাকে খাটো করে দেখিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। ইইউতে ব্রিটেনের থাকা বা না থাকা নিয়ে ক্যামেরন যাতে জুনে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত করতে পারেন সে লক্ষ্যে সম্মেলনে একটি বিশ্বাসযোগ্য সংস্কারমূলক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তিনি তার প্রতিপক্ষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্স ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগের মুখে টাস্ক সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে, ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা তথাকথিত ব্রেক্সিট ঠেকানোর লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এ আলোচনায় আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। তিনি রাতে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে নতুন করে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করার আগে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে কেবল আমি বলতে পারি যে, কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু করার বাকি রয়েছে অনেক কিছু। জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলকে দেখা যায় ক্যামেরনের অবস্থানের বড় সমর্থক হিসেবে। কারণ, ইইউ চায় একটা ঐক্য বজায় রাখতে। মেরকেল সাংবাদিকদের বলেন, এ চুক্তি অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু তাহলেও চুক্তিতে নিহিত রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব। তিনি বলেন, আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে চাই। কারণ, ব্রেক্সিট হলে যে অসুবিধার সৃষ্টি হবে তারচেয়ে অনেক সুবিধার সৃষ্টি হবে চুক্তি স্বাক্ষরে। ক্যামেরন বৃহস্পতিবার রাতে চুক্তির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে টাস্ক ও ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লদ জাংকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। টাস্ক ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল ও চেক প্রধানমন্ত্রী বহুসøাভ সবতকার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যেসব দেশ মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করে না তাদের রক্ষাকবচের জন্য ক্যামেরনের দাবির ব্যাপারে ওলাঁদ রক্ষণশীল। অন্যদিকে ইইউকে আরও নিবিড় ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য থেকে ব্রিটেনকে বাদ দেয়ার বিষয়ে আপত্তি মাইকেলের। চেক প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের চারটি দেশের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসব দেশ ব্রিটেনে কর্মরত ইইউ অভিবাসীদের কল্যাণের জন্য লাভজনক অর্থ প্রদান সীমিত করতে ক্যামেরনের অনুরোধের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেন, তিনি চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। ইইউ সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় ১০টায়। সম্মেলনের শুরুতে ক্যামেরন একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। খবর বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে নিষেধাজ্ঞা বিলটি গত সপ্তাহে বিনা বাধায় পাস হয়। নিষেধাজ্ঞা বিলটির প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিলে উত্তর কোরিয়ায় মানবিক ত্রাণ কর্মসূচী এবং রেডিও প্রচারণা চালানোর জন্য ৫ কোটি ডলারও বরাদ্দ করা হয়েছে। কঠোর আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থার নতুন এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এসব নিষেধাজ্ঞার কয়েকটির কারণে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে চীন। সম্প্রতি দেশটি দূরপাল্লার একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। এই উৎক্ষেপণকে নিষিদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পরীক্ষা বলে মনে করছেন সমালোচকরা। তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ‘সাফল্যজনকভাবে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করেছে’ বলে দাবি করা হয়েছে।
×