ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লড়াই করার শিক্ষা পেয়ে গেছি ॥ কারবার

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লড়াই করার শিক্ষা পেয়ে গেছি ॥ কারবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই সপ্তাহ আগে কারবার যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু করেছিলেন, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়া থেকে। এরপর টানা ৫ ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডসøাম আসরের ফাইনালে উঠলেন জার্মান তারকা এ্যাঞ্জেলিক কারবার। কোন গ্র্যান্ডসøামে সেরা সাফল্য ছিল তাঁর ২০১১ সালে ইউএস ওপেন এবং ২০১২ সালের উইম্বলডনে সেমিফাইনাল খেলা। এবার সব সাফল্যকে ছাপিয়ে প্রথমবার কোন গ্র্যান্ডসøামের ফাইনাল খেলার সুযোগ করে নেন এ জার্মান তারকা। তবে প্রতিপক্ষ সেরেনা মানেই যে কোন টেনিস খেলোয়াড়ের জন্য বিশাল অগ্নিপরীক্ষা। সেই চ্যালেঞ্জে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা গতির তারকা বিশ্বের এক নম্বর সেরেনাকে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মর্যাদার গ্র্যান্ডসøাম জয়ে দারুণ খুশি কারবার। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, জীবনের বড় শিক্ষা হিসেবে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, কারও কোন লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে যতবারই ব্যর্থতা আসুক লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। আগের ৬ সাক্ষাতে একবার সেরেনাকে হারিয়ে দেয়ার অভিজ্ঞতা ছিল কারবারের। সেটার সঙ্গে এবারই প্রথম ফাইনালে ওঠার বিষয়টি চরম আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে জার্মান এ তারকার জন্য। শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন সেরেনার বিরুদ্ধে আরেকবার। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জিতলেন। এটি কারবারের ক্যারিয়ারে প্রথম কোন বড় আসরের শিরোপা জয়। ৮টি ডব্লিউটিএ শিরোপাজয়ী কারবার বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বর। জিতে গেলেও সেরেনার প্রতি সম্মানটা অটুট ছিল ২৮ বছর বয়সী কারবারের। তিনি প্রায় রুদ্ধশ্বাসে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সেরেনা আসলেই একজন অনুপ্রেরণার নাম। অবিশ্বাস্য মহান এক ব্যক্তিত্ব তিনি। ইতোমধ্যেই যা করেছেন তার জন্য সম্মান জানাচ্ছি। প্রথম ম্যাচে মনে হয়েছিল ইতোমধ্যেই আমার দেশে ফেরার বিমানে এক পা দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয় সুযোগটা পেয়ে তা কাজে লাগাতে পেরেছিলাম। আর আজ আমার স্বপ্নটাই পূরণ হলো। আমার সারাজীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সেটার ফল হিসেবে আজ নিজেকে চ্যাম্পিয়ন দাবি করতে পারছি। জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো এখানে কেটেছে আমার।’ কারবার ফাইনালের আগে জানিয়েছিলেন যদি শিরোপা জিততে পারেন সেক্ষেত্রে রড লেভার এ্যারেনার পাশে ইয়ারা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটবেন। রবিবার সেটা পূরণ করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা কারবারের দারুণ সময় গেছে ২০১৫। গত বছর ৪টি ডব্লিউটিএ শিরোপা জেতেন তিনি। কারবার মনে করছেন জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় জীবন সম্ভবত শুরু হলো। বড় টুর্নামেন্টগুলোয় আমি গত বছর ভাল করিনি। কিন্তু এবার আজারেঙ্কার বিরুদ্ধে জেতার পর আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে আমি বড় তারকাদের বিরুদ্ধে জয়ের সামর্থ্য রাখি। আমার পরিবার, আমার টিম এবং বন্ধুরা সবসময়ই আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। এই গৌরবটা এখন তাদের সবার। যখনই আমি হেরে গেছি তারা আমাকে বলেছেন এটা হতেই পারে, আরও পরিশ্রম করো। আমি তাই করেছি। এখন শিক্ষাটা পেয়ে গেলাম যে বার বার ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে গেলে কী সুফল পাওয়া যায়। নিজের ওপর অবশ্যই বিশ্বাস থাকতে হবে। এই দুই সপ্তাহে আমি জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছি।
×