ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে ডিজিএমের নম্বর ব্যবহার করে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

কেশবপুরে ডিজিএমের  নম্বর ব্যবহার করে চাঁদাবাজি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২৯ জানুয়ারি ॥ যশোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএমের ব্যবহৃত মোবাইলের সিম ক্লোন (ডুপ্লিকেট) করে জনতা ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জানা গেছে, জনতা ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজার শেখ সাইফুদ্দিনের মোবাইলে গত সোমবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে পল্লী বিদ্যুতের কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএমের মোবাইলের সিম ব্যবহার করে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সিম ব্যবহারকারী নিজেকে ডিজিএম পরিচয় দিয়ে বলেন, তার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বিধায় পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। ম্যানেজার শেখ সাইফুদ্দিন তার মোবাইলে ডিজিএমের নামে সেভ করা নম্বর থেকে কলটি আসায় তখনই টাকা নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে সিম ব্যবহারকারী তাকে হাসপাতালে যেতে আপত্তি করেন এবং ০১৯২০-৩৩২৮৯৮ নম্বর মোবাইলে টাকা বিক্যাশ করতে বলেন। কিন্তু কণ্ঠ সন্দেহজনক হওয়ায় ব্যাংক ম্যানেজার নিজেই বিদ্যুত অফিসে গিয়ে ডিজিএমের সঙ্গে সাক্ষাত করে জানতে পারেন ডিজিএমের মোবাইল থেকে কোন ফোনকল ম্যানেজারের মোবাইলে যায়নি। তখন টাকা বিক্যাশের জন্য সরবরাহকৃত ০১৯২০-৩৩২৮৯৮ নম্বরে ফোন করে জানা যায় ঘটনাটি কোন প্রতারক চক্রের। পল্লী বিদ্যুত কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, তার কর্পোরেট ০১৭৬৯-৪০০১৬৮ নম্বরটি কোন হ্যাকার ক্লোন বা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে ফোন দিয়ে বিভিন্ন গ্রাহক, প্রতিষ্ঠান ও গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি এবং বিভিন্ন রকম অশ্লীল কথা বলে অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে আসছে। পৌরসভা নির্বাচনের ২ দিন আগে ডিজিএমের নম্বর ব্যবহার করে কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মোবাইলে ফোন করে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কটূক্তি করা হয় বলে তিনি জানান।
×