ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত বন্ধের দাবি দলের চল্লিশ এমপির

শরণার্থী নিয়ে মেরকেল বিদ্রোহের মুখে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

শরণার্থী নিয়ে মেরকেল বিদ্রোহের মুখে

জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল তার শরণার্থী নীতি নিয়ে নতুন করে বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তার ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির ৪০ জনের বেশি পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে জার্মানির সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। বিদ্রোহী এমপিরা ২৬ জানুয়ারি দলের আগামী বৈঠকে প্রস্তাবটি ভোটে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। কোলন শহরে ইংরেজী নববর্ষে যৌন নিপীড়নের দায়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে আশ্রয়প্রার্থীরা রয়েছেÑ এ কথা প্রকাশ পাওয়ার পর মেরকেল তার উন্মুক্ত শরণার্থী নীতি পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন। ৬শ’ ৫০-এরও বেশি নারী ওই হামলার ব্যাপারে ফৌজদারি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন। হামলাগুলোর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ যৌন নিপীড়নমূলক। যে সকল আশ্রয়প্রার্থী নিরাপদ তৃতীয় একটি দেশ হয়ে অবৈধভাবে জার্মানিতে প্রবেশ করতে চায় তাদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে আবেদনে। সত্যিকার অর্থে সকল আশ্রয়প্রার্থীই থাকবে এ আবেদনের আওতায়। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিতর্কিত ডাবলিন বিধিমালা অনুযায়ী শরণার্থীরা প্রথম যে ইইউভুক্ত দেশটিতে পৌঁছবে সেখানেই তারা অবশ্যই আশ্রয় প্রার্থনা করবে। জার্মানি এর মধ্যেই ডাবলিন বিধিমালা অনুসারে অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন তাদের সীমান্তে প্রতিদিন শত শত অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে। কারণ তারা ডেনমার্ক বা সুইডেনে আশ্রয় দাবি করার জন্য এ দেশ হয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু আরও হাজার হাজার অভিবাসী যারা জার্মানিতে আশ্রয় চাইছে তাদের এখনই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে, যদিও তারা অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্র অতিক্রম করে আসছে। মেরকেল গত মাসে তার দলের এক সম্মেলনে যে বিজয়সূচক ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে দৃশ্যত মনে হয়েছিল তার বিরুদ্ধে কোন বিরোধিতা দেখা দেবে না। ওই ভাষণে তিনি এক সাময়িক সঙ্কট হিসেবে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত দেন এবং তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসেরও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কোলন নিপীড়ন এ বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে আবারও এবং আগের যে কোন সময়ের চেয়ে তিনি আরও বেশি নিঃসঙ্গ মনে করছেন নিজেকে। দলের জেনারেল সেক্রেটারি পিটার টাবার প্রতিদিন এক হাজার প্রত্যাখ্যাত শরণার্থীকে বিতাড়িত করার জন্য জার্মানির অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতি বুধবার আহ্বান জানিয়েছেন। কোলন নিপীড়নের ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন প্রত্যাখ্যাত অভিবাসী রয়েছে, কিন্তু তারা জার্মানিতে রয়েছে এ কথা প্রকাশ হওয়ার পর তিনি এ আহ্বান জানান। জার্মানি গত বছর প্রত্যাখ্যাত আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশকে বিতাড়িত করতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু নবেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৮ হাজার ৩শ’ ৩৬ জনকে বিতাড়ন করা হয়েছে।
×