ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাব পড়তে পারে আগামীকালের নির্বাচনের ওপর

আর্থিক কারণে তাইওয়ানীদের চীনমুখী প্রবণতা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

আর্থিক কারণে তাইওয়ানীদের চীনমুখী প্রবণতা বাড়ছে

জেসন লি গত প্রায় ১০ বছর ধরে তাইওয়ানে বেশ নামডাকের সঙ্গেই ব্যবসা করছিলেন। আরও তিনজন বন্ধুকে নিয়ে তিনি সেখানে গড়ে তুলেছিলেন একটি এনিমেশন স্টুডিও। ওই স্টুডিওতে টিভি শো এবং গেমস ও চলচ্চিত্রের জন্য স্পেশাল ইফেক্ট তৈরি করা হতো। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং চাহিদা কমতে থাকায় তাইওয়ানে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া লাভজনক বিবেচনা করলেন না জেসন। ২০১১ সালে চলে এলেন চীনের মূল ভূখ-ে। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় কিংডাও শহরে এসে শুরু করেছেন তার সেই পুরনো ব্যবসা। পাঁচ মাস আগে খুলেছেন নিজস্ব স্টুডিও। তার অধীনে এখন কাজ করছে ২০ জন স্টাফ। আগামী চীনা নববর্ষের আগেই এই সংখ্যা দ্বিগুণে উন্নীত হবে বলে তিনি আশা করছেন। তাইওয়ানে থাকলে ব্যবসার এ ধরনের অগ্রগতি তিনি আশাই করতে পারতেন না। ঘটনা জেসন লি বা তার মতো শত শত লোক যারা তাইওয়ান চীনের মূল ভূখ-ে এসে ব্যবসা করছেন তাদের জন্য বিষয়টি যত ইতিবাচকই হোক তাইওয়ান দ্বীপটির জন্য এটি কোন সুখবর নয়। তাইওয়ানের লোকজন যেভাবে নিজেদের ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যাশায় চীনে পাড়ি জমাচ্ছে তা তাইওয়ানের অর্থনীতির জন্য একটি বিপদ সঙ্কেত। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাইওয়ান ক্রমেই চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। অর্থনীতি ছাড়াও চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ইতিহাস রয়েছে। চীন তাইওয়ানের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব দাবি করে থাকে। ২০১৪ সালে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন কুয়োমিন্টাং দলের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হয় তার মূলে ছিল অর্থনীতি নিয়ে উৎকণ্ঠা। ওই বিক্ষোভের রাজনৈতিক মূল্য শনিবার অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ নির্বাচনের ওপর পড়তে পারে। বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এবারও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইসু হবে চীন এবং তাইওয়ানের ভবিষ্যত এর বিশাল প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করা না স্বতন্ত্র সত্তা বজায় রাখার ওপর নির্ভর করে, সেই প্রশ্ন। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কুয়োমিন্টাং ও সাই ইং ওয়েনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকার চীনের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি সাধন ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। -নিউইয়র্ক টাইমস
×