ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ করিমন চাঙ্গা রেখেছে গ্রামীণ অর্থনীতি

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

অবৈধ করিমন চাঙ্গা রেখেছে গ্রামীণ অর্থনীতি

গরুর গাড়ি নয়, যশোরের গ্রামগঞ্জে এখন তার জায়গা দখল করেছে ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলম সাধু। অবৈধ এসব যানবাহন মহাসড়কে নিষিদ্ধ হলেও তা হরহামেশা চলাচল করছে। তবে গ্রামের অর্থনীতিতে এর অবদান কম নয়। বলা চলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে এই যানবাহন। এই অঞ্চলে কত নসিমন, করিমন চলাচল করে তার কোন হিসাব নেই। তবে লাখের ওপর হবে। প্রতিটি গ্রামে রয়েছে অসংখ্য যানবাহন। এমন কোন গ্রাম নেই, যে গ্রামে নসিমন করিমন নেই। গ্রাম এলাকার চাষীদের উৎপাদিত ফসল শহরে বাজারে নিয়ে আসে নসিমন করিমনে চড়ে। যশোর অঞ্চলে সবজি উৎপাদিত হয় বেশি। তার পুরোটাই বলা চলে পরিবহন করা হয় এই যানবাহনে। খুব ভোরে ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে তা আড়তে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে করিমনের চালক। গ্রাম এলাকার শস্য পরিবহন ছাড়াও মানুষের যাতায়াতে ব্যবহার করা হয় এই অবৈধ যান। আর গ্রাম এলাকায় যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, তার বেশিরভাগই এই যানের কারণে। বহু মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। তবে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা রেখেছে এই অবৈধ যান। বিগত বিএনপি জামায়াত জোটের হরতালের সময় দেখা গেছে, এই অবৈধ যান গ্রামের পণ্য নিয়ে শহরে পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমান গ্রামের মানুষ এই যান ছাড়া চলতে পারে না। গ্রাম থেকে কাছের বাজার কিংবা হাটে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই যান। হাজার হাজার মানুষের বেকার সমস্যার সমাধান করেছে এই বাহন। গ্রামের অনেকের একাধিক নসিমন, করিমন রয়েছে। তারা প্রতিদিন ভাড়া দিয়ে থাকে চালকদের কাছে। তা থেকে যে টাকা পায়, তা দিয়ে সংসার চলে তাদের। সরকার থেকে মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও এখনও তা দেখা যায়। Ñসাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×