ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ!

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ!

অষ্টম পে-স্কেল নিয়ে সংক্ষুব্ধ সব পক্ষের সঙ্গে বসে বেতন জটিলতা নিরসনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পরপরই বিভিন্ন মহলে দেখা দেয় নানা প্রতিক্রিয়া। তবে সর্বাধিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিসিএস শিক্ষকদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেয়ায় তাদের বেতন আগের তুলনায় নেমে গেছে কয়েক ধাপ নিচে। তারা দাবি করেছেন, জরুরীভাবে এই বেতন বৈষম্যের সমাধান করা না হলে ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে অচিরেই তারা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। অনুরূপ বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬ ক্যাডার (প্রশাসন ব্যতিরেকে) এবং বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তারা। মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত বৈঠকে পে-স্কেল নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, গেজেট নোটিফিকেশনে তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। মন্ত্রীরা এর জন্য দায়ী করেন আমলাতন্ত্রকে। তবে বাস্তবতা হলো, বেতন কাঠামো ও বেতনবৈষম্য নিয়ে ইতোমধ্যে জল অনেক ঘোলা করা হয়েছে। সরকারের মধ্যে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছিও কেউ কেউ আছেন যে বা যারা সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস এবং বৃহত্তর শিক্ষক সমাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টায় সচেষ্ট। স্বস্তির কথা এই যে, প্রধানমন্ত্রী যথাসত্বর সংক্ষুব্ধদের মনোভাব আঁচ করতে পেরেছেন এবং সমস্যার সমাধানে ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছেন। এই ইঙ্গিত মিলেছে যে, পদ মর্যাদাসংক্রান্ত জটিলতাসহ বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। সত্য বটে, অষ্টম পে-স্কেলে প্রায় সর্বস্তরে বেতন অনেক বেড়েছে, অনেক ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ। ইতোমধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। সঙ্গত কারণেই আশা করা যায় যে, বেতন বাড়লে দুর্নীতি কমবে। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হবে না। বেতন বাড়লে জাতীয় বাজেটে চাপ বৃদ্ধিসহ বাজারে তার প্রভাব পড়বে। বেতন বাড়ানো হলেও বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব তেমন পড়েনি। ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে সাধারণ মানুষ আছে স্বস্তিতে। নবগঠিত কমিটির উচিত হবে, সংক্ষুব্ধ ও বঞ্চিতদের সঙ্গে যথাসত্বর আলোচনা করে বেতনবৈষম্য নিরসন করা। এ ব্যাপারে আর সময়ক্ষেপণ কাম্য নয়।
×