ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে তামিম-আজিজুল বাগ্বিতণ্ডা ইস্যু

শাস্তি হচ্ছে তামিম ও সিলেট মালিকের

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

শাস্তি হচ্ছে তামিম ও সিলেট মালিকের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘটনা ঘটেছিল, ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) তৃতীয় আসরে। তামিম ইকবাল ও সিলেট সুপার স্টারসের মালিক আজিজুল ইসলামের মধ্যকার যে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে, তাতে শাস্তি হচ্ছে দুই পক্ষেরই। অর্থ জরিমানা করা হবে চিটাগাং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ও সিলেট সুপার স্টারস দলটি কিনে নেয়া আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুলেরও। মঙ্গলবার বিসিবির পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল এমনটিই জানালেন। বললেন, ‘তামিমের বিষয়টি নিয়ে দেরি হওয়ায় আমি দুঃখিত। আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছি, মাঠে যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি যেটা দেখলাম, আমি ঠিক করেছি দুজনকেই শাস্তি দেয়া হবে। আর্থিক জরিমানা করা হবে।’ তবে আর্থিক জরিমানা কেমন করা হবে, সেই শাস্তি বাংলাদেশ-জিম্বাবুইয়ে সিরিজ শেষেই চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানালেন শেখ সোহেল, ‘জিম্বাবুইয়ে সিরিজ শেষে ফাইনাল করা হবে জরিমানার পরিমাণ।’ ২৩ নবেম্বর চিটাগাং ভাইকিংস ও সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা নির্ধারিত সময় দুপুর ২টায়। কিন্তু টসই হয় ২৫ মিনিট পর। কেন? তখনই জানা গেছে, চার বিদেশী যে খেলানো বাধ্যতামূলক, সেই নিয়ম মানেনি সিলেট দলটি। দুই বিদেশী খেলোয়াড় তালিকায় রাখে তারা। আর তাই চিটাগাং ভাইকিংস দেরিতে টস করতে যায়। এরপর যখন ক্রিকেটের স্পিরিট রক্ষার্থে টস হলো, তখন দেখা গেল, ফিল্ডিংয়ে চার বিদেশীই নামছেন। তামিম তখন বেঁকে বসেন। মাঠে নামতে চান না। খেলা শুরু হতে তাই দেরি হতেই থাকে। নিয়ম অনুযায়ী সিলেট ভুল করাতে চিটাগাংয়েরই ওয়াকওভার পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিসিবির হস্তক্ষেপে, দেশের ক্রিকেটকে কলঙ্ক থেকে বাঁচাতে তামিম খেলতে রাজি হন। তবে এর ফাঁকে তামিম ও সিলেটের মালিকের সঙ্গে বাগ্বিত-া হয়। দুই পক্ষই উল্টা পাল্টা বলতে থাকে। তা শেষপর্যন্ত বিসিবির কয়েক পরিচালকের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষপর্যন্ত দুই দলই ১ ঘণ্টা পর খেলতে নামে। খেলায় জিতে চিটাগাংই। খেলা শেষে তামিম আসেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে বাগ্বিত-া নিয়ে বলতে গিয়ে তামিম জানান, ‘আমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ভিক্ষুক নই।’ তামিম আরও বলেন, ‘সিলেটের একজন কর্মকর্তা আমার বাবা-মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়ের প্রতি কিছুটা হলেও শ্রদ্ধা থাকা উচিত। আমরা ক্রিকেট খেলতে এসেছি, বাবা-মাকে নিয়ে গালাগাল শুনতে আসিনি।’ গালাগাল করা সেই কর্মকর্তার উদ্দেশ জাতীয় দলের এই ওপেনারের অনেক কিছু বলার ছিল। বলেছেনও, ‘আপনার টাকা থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে কাউকে অসম্মান করতে পারেন না। সেই অধিকার কারও নেই। বিপিএল খেলতে এসেছি বলে আমরা বিক্রি হয়ে যাইনি। আমি আইপিএলে কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি ঠিকই, কিন্তু এক মৌসুমে একটা দলে ছিলাম। তখন দেখেছি ক্রিকেটারদের প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের শ্রদ্ধাবোধ। তাদের কাছ থেকে আমাদের শেখা উচিত।’ তামিম শেষে বিচারের ভার বিপিএল কর্তৃপক্ষর ওপরই ছেড়ে দেন, ‘আশা করি বিপিএল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আমি ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছি। তবে সেই ব্যক্তির নাম এখানে (সংবাদ সম্মেলনে) বলতে চাই না।’ তামিমের সংবাদ সম্মেলন শেষেই বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ বিষয়ে বলেন, ‘তামিম আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে, সিলেটের একজন কর্মকর্তা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। বিষয়টি অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখব। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
×