“বঙ্গবন্ধু” উপাধি যে পেল ভালোবেসে “জয় বাংলা” মায়,
জয়জয়কার করি আজ তার আমরা উছল বন্দনায়।
উঠেছিল রাঙি যে-হেম স্বপন তোমার প্রেমল আঁখি তারায়,
দিলে তারে রূপ জাগরণে-সপি, জীবন তোমার মায়ের পায়।
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনোঃ “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
আমরা- যে বাঁধা পড়ি মোহপাশে-স্বার্থসিদ্ধি গণি মহান,
তাই ভুলে প্রীতি-স্নেহবাণী নিতি ঝরাই অশ্রু নিরবসান।
পরের দুঃখে যেমনি হৃদয় অসহ ব্যথায় দুলে ওঠে,
আকাশে বাতাসে শুনিঃ “নাই ভয়, নিশাবুকে ঐ ঊষা ফোটে!”
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনোঃ “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
পথ চেয়ে থাকি পথহারা, কাঁদিঃ “কার সে-নিশান দেবে দিশা?
পরবশতার মরু তাপে কার নিঝরে মিটিবে প্রাণ তৃষা?”
ফুটিল যেমনি বাংলার বুকে এই ডাক-তুমি ঝঙ্কারি
গাহিলে দিশারি চারণঃ “মা ভৈঃ! এ অপারে আছি আমি পারী।”
বালা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনোঃ “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
যমযন্ত্রণা সহি দেশতরে চাহিলে দেশের স্বাধীনতা
নিঃস্বেরো হতে সহায় বরিলে ত্যাগ, মহত্ত্ব, উদারতা।
“বাংলা ভাষাই মাতৃভাষা”- এ মন্ত্রে আনিলে যুগান্তর,
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনোঃ “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
“সোনার বাংলা” তোমার কণ্ঠে ঝঙ্কৃল মধুমূর্ছনায়,
তারি আহ্বানে মুক্তিবাহনী অভিনন্দিল বাংলা মায়।
এসো বীর গৌরবে, করো বাংলা মায়ের কোলে বিরাজঃ
“ভাই ভাই” এই সুর বাংলায় জাগাও তোমার শঙ্খে আজ।
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনোঃ “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
প্রখ্যাত গীতিকবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুত্র দিলীপকুমার রায় ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: