
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোশনূর রুবাইয়াং ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন উপজেলার ১৩টি পয়েন্টের ডিলারশিপ আবেদনকারীরা।
তারা জানান গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সিলেট সদর উপজেলার ১৩টি পয়েন্টের ডিলারশিপ নিয়োগ লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে সকল আবেদনকারী যোগ্য হয়েছেন, পাশাপাশি সকল আবেদনকারীর উপস্থিতিতে ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত হবে বলে উপজেলা পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে যে পক্রিয়ায় নিয়োগ চূড়ান্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আবেদনকারীরা জানান কোনো আবেদনকারীরকে না জানিয়ে বিগত সরকারের নিশি রাতের ভোট ডাকাতিকে অনুসরণ করে ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। যেখানে লটারির কথা উল্লেখ করা হলেও তা কোনো আবেদনকারী জানেন না। শুধু মাত্র নিয়োগ মনোনীত আবেদনকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আল ইমরান ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, লটারির বিষয়টি আমাদেরকে গোপন রাখা হয়েছে। আগে থেকে তাদের পছন্দের ডিলার মনোনীত করে রাখা হয়েছে, এবং মনোনীত ব্যক্তিরা শুধু মাত্র উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন। ২৪ শে'র আন্দোলন আমরা এ জন্য করিনি। অবিলম্বে ডিলার নিয়োগ বাতিল করতে হবে। তিনি জানান ডিলার নিয়োগে অনিয়মের ঘটনা তুলে ধরে গত ২২জুন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার ১৩টি পয়েন্টের ডিলারশিপ আবেদনকারীরা।
শিবের বাজারের ডিলার আবেদনকারী রেজা রুবেল জানান, ডিলার নিয়োগের লটারির বিষয়ে আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। হঠাৎ ফেইসবুকে নিয়োগ সম্পন্নের বিষয়টি দেখে আমি হতবাক হয়েছি। এ নিয়ম ডিলার নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই। অন্যথায় আমরা নিয়ম মোতাবেক আন্দোলন করবো।
সাহেবের বাজার ডিলারের আবেদনকারী সালাউদ্দিন ইমরান জানান, উপজেলা প্রশাসন আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি একজন আবেদনকারী ছিলাম, আমি কিছুদিন ইউএনও মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে দেখা করেছিলাম, তিনি আমাকে বলেছিলেন, সাহেবের বাজারের সকল আবেদনকারীকে আমরা যোগ্য ঘোষণা করেছি, তাই এটা সকল আবেদনকারীর উপস্থিতিতে লটারি করা হবে। এখন দেখতেছি শাক দিয়ে মাছ ডাকার মত হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সিলেট সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, নিয়োগটি উপস্থিত সকলের সামনে সম্পন্ন করা হয়েছে। মনোনীত ব্যক্তি ব্যথিত অন্য কোনো আবেদনকারী উপস্থিত ছিলেন কি না জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মিরাজ খান