
ইন্দুরকানী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,০৩টি নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী,১নং পাড়েরহাট ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওন তালুকদারের নিকট থেকে ঢাকায় গিয়ে সাক্ষর এনে ০১বছর আগের ডিও ছাড় করে খাদ্য গুদাম থেকে চাল তুলে তা বিক্রয় করে দিলেন উপজেলা খাদ্য অফিসের প্রভাবশালী নিরাপত্তাকর্মী মোঃ নাজমুল কবির।
১৭ জুন ২০২৫ তারিখে উপজেলা খাদ্য অফিসের প্রভাবশালী নিরাপত্তা কর্মী মোঃ নাজমুল কবির অফিসের কাউকে না জানিয়ে অফিসের রেজিস্টারসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় গিয়ে পলাতক শাওন তালুকদারের যোগসাজশে ডিওতে স্বাক্ষর নেয়। ওইদিনই তড়িঘড়ি করে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার সঙ্গে আতাত করে ০১মে: টন ৮০০ কেজি চাল তুলে তা বিক্রয় করে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত বছরের ২০ জুন উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের একটি রাস্তার কাবিখা প্রকল্পের ০১ মেট্রিক টন ৮০০কেজি চাল বরাদ্দ দেয় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান অফিস। কিন্তু ওই সময় কাজ শেষ করতে না পারায় বরাদ্দকৃত চাল তুলতে পারেনি। ০৫ আগস্ট এর পর ওই বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়,বর্তমানে সে ০৩টি নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তাকর্মী চতুর নাজমুল কবির শাওন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজে লাভের আশায় এ অনৈতিক কাজটি করতে মরিয়া হয়ে চাল বিক্রি করে টাকা পকেটে ঢুকায়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে এম মামুনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা,গত বছরের কোন ডিও আমি ছাড় করিনি,বিষয়টি আমি প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে আমার অফিসের কেউ জড়িত থাকলে আমি তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করবো।
উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবছরের ২০ জুনের ডিও করা একটি রাস্তার কাবিখা প্রকল্পের এক মেট্রিক টন ৮০০কেজি চাল এক বছর ধরে গুদামে রক্ষিত ছিল।এ প্রকল্পের সভাপতি ছিল শাওন তালুকদার। এ ব্যাপারে খাদ্য গুদামে নিরাপত্তা কর্মী নাজমুল কবিরের কাছে বললে সে বিতরণ রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় গিয়ে স্বাক্ষর এনে চাল দিতে বলেন। এ ব্যাপারে শাওন তালুকদার আমাকে ফোন দিলে আমি চাল দিয়ে দি। আপনি কেন এই অনৈতিক কাজে সহায়তা করলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোওর দিতে পারেননি।
উপজেলা খাদ্য গুদামের অভিযুক্ত নাজমুল কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,২০২৪ সালের ২০ জুন বহিষ্কৃত পলাতক চেয়ারম্যান এর নামে একটি প্রকল্পের এক মেট্রিক টন ৮০০ কেজি চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি ঢাকায় গিয়ে তার স্বাক্ষর এনে চাল ক্রেতাকে চাল দিতে বলেছি। আপনি কেন ঢাকায় গিয়ে স্বাক্ষর এনে ডিও ছাড় করে দিলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোওর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন,আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা, আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি প্রথম শুনলাম। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Jahan