ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

ইউপি সচিবকে হুমকি ও নারী উদ্যোক্তাকে গালিগালাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১৯ জুন ২০২৫

ইউপি সচিবকে হুমকি ও নারী উদ্যোক্তাকে গালিগালাজ

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউপি সচিব সোহাগ আলীকে হুমকি ও নারী উদ্যোক্তা রানি ইসলামকে গালিগালাজ দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কোলা ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলাউদ্দিন আল আজাদের কাছে পরিষদের চিঠিপত্র ও প্রজেক্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে হবে উল্লেখ করে ইউপি সচিবকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের নারী উদ্যোক্তা রানী ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সেসময় ইউপি সচিব সোহাগ আলী সভা কক্ষের সামনে চেয়ারে বসা ছিলেন। তখন ৫ জন ব্যক্তি আসে এবং তাদের মধ্যে একজন তাকে হুমকী দেয়।

একটি ভিডিওতে হুমকীদাতাদের একজনকে বলতে শোনা যায়, পরিষদের কাজ কি বন্ধ আছে, নাকি সব চলছে? জাফর মেম্বরের কোন কার্যকলাপ এখানে চলবে না। কাজ-কাম যেখানে যাই হোক চিঠি আপনি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদের কাছে দিবেন। এর বাইরে কোথাও যাবে না। এই কথার পরে আপনি হিসাব-কিতাব মিলিয়ে যদি ওই লাইনে কাজ করলেন তাহলে আপনারও সমস্যা হবে, আর যারা প্রতিপক্ষ ওদেরও সমস্যা হবে। এখন আর ছাড় দেওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই। আপনি সরকারি চাকরি করতে এসেছেন। আপনার সাথে আমার কোন খারাপ কথা বলার যুক্তি নেই। তিনি আরও বলেন, কোন মেম্বরদের কোন কাজ এখন নেই, সব ঠান্ডা। আওয়ামী লীগের সময়ের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান যদি পরিষদে না আসতে পারে তাহলে মেম্বরদের তো কোন কাজ নেই। চেয়ারম্যানের বাইরে কোন কাজ যেন না হয়, তাহলে সমস্যা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হুমকীদাতা এলাকায় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিগত সময়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলা করতে কোলা বাজারে প্রকাশ্যে দা নিয়ে মহড়া দিতেন। বরখাস্ত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদের খুব আস্থাভাজন এই ব্যক্তি। তিনি অস্ত্র মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারেও ছিলেন।

কোলা ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তা রাণী ইসলাম জানান, ৫ জন এসেছিল ইউনিয়ন পরিষদে। তারা এসে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিল। এ সময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। যা মুখে নেওয়া সম্ভব না। তারা আমার হাতে থাকা ফোনও কেড়ে নেয়। পরে যাওয়ার সময় দিয়ে গেছে।

কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সোহাগ আলী বলেন, কিছু ব্যক্তি এসেছিল। তারা সকল চিঠিপত্র ও প্রজেক্টের ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে দিতে বলেছে। না দিলে সমস্যা হবে। এছাড়াও তারা নারী উদ্যোক্তার সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেছে। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর কোলা ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। সরকারি আদেশের বাইরে কিছুই করার নেই।
কোলা ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. খাইরুল হক বলেন, ইউপি সচিব বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: দেদারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

ফারুক

×