
‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় যশোর থেকে ইয়েস কার্ড পেয়েছেন চার জেলার ৫৯ জন ক্ষুদে সাঁতারু। এর মধ্যে ৪৩ জন বালক এবং ১৬ জন বালিকা।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুইমিংপুলে যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল জেলার দুই শতাধিক সাঁতারুর মধ্য থেকে তাদের বাছাই করা হয়।
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় নবীন প্রতিভাবান সাঁতারু সন্ধানের লক্ষ্যে “সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ” শীর্ষক সুইমার ট্যালেন্ট হান্টের আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী, সম্ভাবনাময় এবং সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের খুঁজে বের করে তাদের ক্রীড়া সম্পদে পরিণত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণ সাঁতারুদের মাঝে ইয়েস কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সাঁতার শুধু একটি খেলা নয়, এটি জীবন রক্ষার একটি কৌশল। আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়—এর প্রধান কারণ সাঁতার না জানা। তৃণমূল পর্যায়ে এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে মেধাবী সাঁতারুরা উঠে আসবে। আমি প্রত্যাশা করি, আজকের বিজয়ীরা আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে নিজ জেলার সুনাম বয়ে আনবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার ফাহিম আহমদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা খালিদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সদস্য মাহাবুবুর রহমান ও নাজিম উদ্দিন, এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের যশোর শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তফা মাহমুদ প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, দেশের প্রতিটি জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিভাবান সাঁতারু খুঁজে বের করে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাঁতারু তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ৮টি বিভাগ ও ৬৪টি জেলা থেকে ১৫টি ভেন্যুতে সাঁতারু বাছাই করছে। এতে প্রায় ৬০০ উদীয়মান সাঁতারু নির্বাচন করা হবে।
সজিব