বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, “বিএনপি বায়বীয় আশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। জনগণের ওপর নির্ভরশীল বলেই বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।”
আজ বুধবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সমমনা শিক্ষকজোট, যশোর শাখার আয়োজনে নার্গিস বেগম বলেন, “তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা—এটি দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্ন। গত ১৬ বছরে দেশের প্রায় সব সেক্টরকে অমর্যাদাকর জায়গায় নামিয়ে আনা হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। সেই জায়গা থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা চাই পরাশক্তির চোখে চোখ রেখে কথা বলতে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি ছোট দেশ হয়েও আমাদেরকে নানা দিক থেকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চলছে। তাই আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।”
শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আন্দোলনে শিক্ষক সমাজের সক্রিয় সমর্থন আমরা খুব কমই পেয়েছি। অনেকেই ভয় পেয়েছেন। এখন যাঁদের কাছে নানা দাবি জানাচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু ভয় পাননি। শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, ন্যায়-অন্যায়ের জ্ঞানও দেওয়া। চোখ-কান খোলা রেখে ছাত্রদের সচেতন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত সব পেশাজীবী শ্রেণিকে সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার আলোকে জ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
সেমিনারে প্রধান আলোচক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। তাঁদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানো হয়েছে। ভোট ডাকাতির মতো জঘন্য কাজে শিক্ষকদের জড়ানো হয়েছিল। তবে অনেক শিক্ষক সেই জঘন্য কাজ প্রত্যাখ্যান করে শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন। এখন বিএনপি সমাজটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চায়। এটা এককভাবে সম্ভব নয়—সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র সংস্কারে শিক্ষক সমাজ আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ শিক্ষক সমিতি যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শাহীন, অধ্যাপক আমিনুর রহমান পিন্টু, আমিনুর রহমান মধু প্রমুখ।
নুসরাত
