ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

সংস্কার যেন ছেলে খেলা: ভাসমান সেতু আজও মরণ ফাঁদ!

হাসান আলী, দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর

প্রকাশিত: ২০:৪২, ১৮ জুন ২০২৫

সংস্কার যেন ছেলে খেলা: ভাসমান সেতু আজও মরণ ফাঁদ!

ছবি: জনকণ্ঠ

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত ভাসমান সেতু যেন আজও প্রাণ ভয়ে মানুষকে কাঁদায়। শুধু তাই নয় বহু মানুষ দুঃখ-কষ্টে চলাচল করলেও  সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা সীমিত ও দায়সারা” সেতু সংস্কারে। আর সে সংস্কারের বরাদ্দ? মাত্র ৫ হাজার টাকা! এত অল্প খরচে যে সংস্কার হয়েছে, তাতে সেতুর অবস্থা “যেমন ভাঙা ছিল, তেমনই আছে।”

 


স্থানীয় তিনটি গ্রামের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় মানুষের যাতায়াত এখন প্রায় বন্ধ। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন, শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী—কিন্ত সবাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এই দুর্ভোগের কারণে ঈদের সময় অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেতে পারেননি, এমনকি নামাজ আদায় করতেও সমস্যা হয়েছে।

ভাসমান সেতুর ভাঙা অংশে টুকরো বাঁশ আর রশি দেওয়া। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নামমাত্র কিছু বাঁশ, রশি ও কাঠের খুঁটি বসিয়ে দায়সাড়তে চেয়েছে। কিন্তু তাতে মানুষের চলাচলের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন “এই ব্রিজে উঠলেই মনে হয় কখন যেন ভেঙে নদীতে পড়ে যাব।
অনেকে আবার পর্যটনের আশায় আসে, ফিরে যায় হতাশ হয়ে।
সেতুটি একসময় জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের মতো জমজমাট ছিল। কিন্তু এখন ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকায় পর্যটক তো দূরের কথা, স্থানীয়রাও আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে রয়েছে প্রশাসনের নিরবতা" বিষয়টি নিয়ে পৌরপ্রশাসকের দায়িত্বে থাকা এসিল্যান্ড শামসুজ্জামান আসিফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান ।” এরপর আর কোনো জবাব দেননি।


এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও রয়েছে পাহাড় পরিমান ক্ষোভ"  এলাকাবাসী বলেন, “মাত্র ৫ হাজার টাকায় একটা বাঁশের সাঁকো বানালেও চলাচল নিরাপদ হয় না। অথচ এটাকে ব্রিজ সংস্কার বলা হচ্ছে, এটা সংস্কারের নামে আমাদের সঙ্গে তামাশা।” তাদের দাবি, “এই ব্রিজ দিয়ে স্কুলে যাওয়া, হাসপাতালে রোগী নেওয়া, সবই এখন বন্ধ। তাঁরা আরো বলেন দ্রুত স্থায়ীভাবে সেতু সংস্কার করতে হবে। না হলে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।”

ছামিয়া

×