ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে তিন দফা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১৮ জুন ২০২৫

সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে তিন দফা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ছবি: জনকণ্ঠ

আগামী ২২ জুনের মধ্যে সিলেটের বন্ধ পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়াসহ তিন দফা দাবি মানা না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় স্থানীয় কোয়ারিগুলো পুনরায় চালু করে শ্রমজীবী মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনা হোক।

বুধবার ‘সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মুখপাত্র শাব্বির আহমেদ ফয়েজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—

১. সরকারিভাবে অনুমোদিত কোয়ারিগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া,
২. পাথরবাহী যানবাহনের চলাচলের জন্য হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা,
৩. কোয়ারিগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে হবে।

২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর জাফলংকে পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই আবেদন করেছিল ২০১২ সালে। এরপর থেকে কয়েকটি ধাপে জাফলং, ভোলাগঞ্জসহ সিলেটের ৫টি কোয়ারি থেকে বালু ও পাথর কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি জাফলংকে ‘ভূতাত্ত্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে জাফলংয়ের ২২.৫৯ একর জায়গাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়।

তবে গত বছর ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সবগুলো পাথর কোয়ারি থেকেই ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। এর মধ্যেই পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

বক্তারা বলেন, একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাচ্ছে, তেমনি তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিক, ট্রাকচালক, হেলপার, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার পরিবার।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ভারতের মেঘালয় থেকে কয়লা ও পাথর আমদানির সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পিয়াইন, ধলাই, গোয়াইন ও সারি নদীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে নদীগুলোতে ব্যাপক হারে পলি জমে প্রবাহ কমে যাচ্ছে এবং অপরদিকে মূল্যবান ভূমি পরিণত হচ্ছে বালুময় চরে।

পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় অবৈধ চুরি, চাঁদাবাজি ও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাথর প্রবেশ করছে। ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে।

তারা আরও জানান, আগামী ২২ জুনের মধ্যে দাবি মানা না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শহীদ

×