ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

কলাপাড়ায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না, তারপরও জেলেরা সাগরে ছুটছেন আশায় বুক বেঁধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ১৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৩:৩৯, ১৫ জুন ২০২৫

কলাপাড়ায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না, তারপরও জেলেরা সাগরে ছুটছেন আশায় বুক বেঁধে

বরফ, জ্বালানি, বাজার সওদা নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে নিষেধাজ্ঞার পরে গভীর বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়েছিলেন এফবি মা জননী ট্রলারের ২২ জেলে। তিন রাত তিন দিন পরে গতকাল শনিবার রাতে মহিপুর ঘাটে ফিরেছেন। ৩৫ কেজির মতো ইলিশ পেয়েছেন। মাত্র ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

জেলে ইসমাইল হোসেন জানান, শুরুতেই বড় ধরনের লোকসান দিয়েছেন। তবে ২২ জন জেলে নিয়ে আবারও আজ-কালের মধ্যে সাগরে যাবেন বলে চিন্তা করছেন।

মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ফজলু গাজী জানান, সাগরে ইলিশ মাছ এখন পর্যন্ত ধরা পড়ছে না। মহিপুর বন্দরে অর্ধশতাধিক আড়তে গত তিন দিনে সর্বোচ্চ ছোট-বড় সাইজের দুই শ’ মণ ইলিশের আমদানি হতে পারে। তবে এখনও সাগরের পানি মিষ্টি হয়নি, লোনা রয়েছে। বৃষ্টি একটু বেশি হলে লবণাক্ততা কমে গেলে ইলিশের দেখা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জেলেরা জানান, গভীর সমুদ্রে লম্বা, লাল জালে কমবেশি বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে, যার দামও ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা মণ। আর সাদা জালে ছোট-বড় মাঝারি সাইজের ৫-১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কিছু সামুদ্রিক মাছও ধরা পড়ে। তবে প্রথম দিনে একটা বোট ছাড়া কেউ লাভের মুখ দেখতে পারেনি বলে অধিকাংশ জেলে ও ট্রলার মালিকদের দাবি।

মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাজু আহমেদ রাজা জানান, গত তিন দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ৭-৮টি ট্রলার সাগর থেকে মহিপুর ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। তবে কেউ কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না। দুই-এক জন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। কেউ লোকসান থেকে বের হতে পারছেন না। তারপরও আশায় বুক বেঁধে আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফিরে আসা জেলেরা। তিনি আরও জানান, মহিপুর বন্দরে প্রায় ৭৩টি মাছের আড়ত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০টিতে কমবেশি কিছু মাছ কেনাবেচা হয়েছে। বাকি আড়তে এখন পর্যন্ত মাছের কোনো আমদানি হয়নি।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ৭-১০ দিন অতিবাহিত কিংবা পর্যবেক্ষণের আগে এই মুহূর্তে সঠিক কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। একটু অপেক্ষা করতে হবে।

আফরোজা

×