ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল 

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ এই শ্লোগান নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে এক লাখ মোমবাতি। নড়াইল একুশের আলো একুশের ভাষা শহীদদের স্মরনে বুধবার ২১শে’র সন্ধ্যায় এ মোববাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৯৭ সাল থেকে নড়াইলে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করছে মোববাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। নড়াইলবাসীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেন এই মনোহর দৃশ্য।

সূর্যাস্তের সাথে সাথে ২১শে’র সন্ধ্যায় শুরু হয় এক লাখ মোববাতি প্রজ্জ্বলন। শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, বাংলা বর্ণমালা, আল্পনাসহ  গ্রাম বাংলার নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে। সে সাথে ভাষা দিবসের ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ৭৩টি ফানুষ উড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  প্রায় ৩ হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা ঠিক ৬টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু করে গণসঙ্গীত ও কবিতা পরিবেশন করেন। 

এর পরেই মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এর আগে একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কচি খন্দকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, নাট্য ব্যক্তিত্ব মিলন কুমার ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক মোঃ শরফুল আলম লিটু প্রমুখ।জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ ব্যতিক্রমি এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে  ১মাস পূর্ব থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন। 

প্রতি বছরের মতো এবারো নড়াইলবাসী, ঢাকাসহ নড়াইলের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেন এ মনোরম দৃশ্য।

এস

×