ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনে দীর্ঘ সারি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১০ জানুয়ারি ২০২৪

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনে দীর্ঘ সারি

ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। ইনসেটে- ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন লোকজন 

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে টানা ৮ ঘণ্টা ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঘাটের উভয় পারে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবৎ ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত দেড়টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এই নৌরুটের দুর্ঘটনা এড়াতে রাত দেড়টার সময় থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। 
এদিকে টানা ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ও রাজবাড়ী জেলা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। শীতের মধ্যে যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ম্যানেজার (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে রাত দেড়টার সময় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

সৈয়দপুর-ঢাকা ফ্লাইট চলাচল বিঘিœত
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বুধবার সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে ঢাকা থেকে যেমন সিডিউল অনুযায়ী যাত্রী উত্তরাঞ্চলের সৈয়দপুর বিমাবন্দরে আসতে পারেনি। তেমনি  ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিল। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। তবে কুয়াশা কেটে যাবার পর দুপুর ১টা ৫০ মিনিট থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর পর তিনটি ফ্লাইট সৈয়দপুরে অবতরণ করে।

আকাশ পথের এই অবস্থার পাশাপাশি সড়ক পথেও যানবাহন চলাচলে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকা। দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৬০০ মিটার। যা ফ্লাইট ওঠা-নামার জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া এ অঞ্চলে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ।

শীতে কাঁপছে নওগাঁ
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ৯টায় নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতকাল ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই গত কয়েকদিন যাবত প্রতিদিনই নওগাঁর তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা
নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, গাইবান্ধায় আবারও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শেষে নদ-নদী বেষ্টিত এলাকায় ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তরে হিমালয় থেকে আসা ঠা-া বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূূত হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবারও কমতে শুরু হয়েছে তাপমাত্রা। গত ৩ দিনের ব্যবধানে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। বুধবার সকাল ৬টায় এই মৌসুমে গাইবান্ধার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
 
লালমনিরহাটে জনজীবন স্থবির
সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, হাড় কাঁপানো শীতে স্থবির লালমনিরহাটের জনজীবন। দিন রাতে প্রায় সমান তালে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাহিল এ জনপদের মানুষ। দীর্ঘ হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে কৃষি নির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবিকার সন্ধানে। এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় আরও বেশি শীত অনুভব হচ্ছে। জেলায় গত দুইদিন থেকে সূর্যের দেখা মেলছে না। গত কয়েকদিন থেকে উত্তরাঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলছে না। ১০ জানুয়ারি জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগেরদিন মঙ্গলবার  ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

×