
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নীলফামারী
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নীলফামারী। জেলায় চারটি সংসদীয় আসন। ঘনিয়ে এসেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী জানুয়ারিতে হবে এই নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে জেলার চারটি আসনের প্রার্থী এবং জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মঙ্গা কবলিত এককালের নীলফামারী জেলায় গত ১৫ বছরে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। না খেয়ে থাকার সেই দিনও নেই। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের বহুমুখী ফসল আবাদে অধিকাংশ জমিই তিন ফসলিতে রূপান্তরিত হয়েছে। পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ এনে দেওয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নে নীলফামারীর আগের চেহারাই সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। সেই বাঁশের টিনের ভাঙা ঘর এখন চোখে পড়ে না। নীলফামারীর চারটি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য রয়েছেন।
জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা নীলফামারী সদর আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরকে অভিভাবক হিসেবে মেনে চলছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অভিভাবক থাকলেও জেলায় দলটি অভিভাবক সংকটে ভুগছে। একইভাবে জেলা বিএনপি তাদের অভিভাবক হিসেবে ভাবেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে। তিনি নীলফামারী-১ আসন থেকে ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই তুহিন পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে নিবন্ধন না পেলেও জামায়াতে ইসলামী বসে নেই। তারাও মাঠে নেমে পড়েছে।
১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নীলফামারীর উন্নয়নে হাত দেয়। মঙ্গা দূর করতে স্থাপন করে দেয় উত্তরা ইপিজেড। এর মাঝে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল না। এতেই জেলার উন্নয়ন থমকে যায়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও তিনটি আসনই থাকে আওয়ামী লীগের হাতে। নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একটানা ১৫ বছরে নীলফামারীর আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে এক মাইলফলক স্থাপন করেছে বলে স্থানীয় ভোটাররা অকপটে স্বীকার করেন। এ কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নীলফামারীর চারটি আসনেই সাধারণ ভোটাররা শেখ হাসিনার ওপর পুনরায় আস্থা রাখতে চান।
এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই সব জোট-মহাজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। তাই হাতে বেশি সময় না থাকায় ইতোমধ্যে নীলফামারীর ছয় উপজেলা ও চারটি পৌরসভা নিয়ে নীলফামারীর চারটি আসনে ভোটের রাজনীতির মাঠ সরব হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের কাছাকাছি গিয়ে তাদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নীলফামারী-১ ॥ ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১ আসন। এই আসনে রয়েছে সাবেক চার ছিটমহল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছিটমহলের উন্নয়নে সেখানকার বাসিন্দারা বেজায় খুশি। তিস্তা বিধৌত এই নির্বাচনী এলাকায় মানুষজন তিস্তার চরবাসীদের ভাগ্য উন্নয়নের দাবি করেছে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন রোধে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য বাঁধ।
এই আসনে প্রথম, পঞ্চম, অষ্টম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হন। দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও নবম সংসদে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিজয়ী হন। আসনটিতে বর্তমানে টানা দুবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। তিনি অসুস্থ থাকায় বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, নৌকার প্রার্থী এবার যেই হবেন, তাকে বিজয়ী করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। ফলে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে-ঘাটে জনসংযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এদের মধ্যে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সরকার ফারহানা আক্তার সুমি, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন রয়েছেন।
অন্যদিকে, জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ডিমলা উপজেলা জাপার সভাপতি লে. কর্নেল (অব) তছলিম উদ্দিন ও জেলা জাপার আহ্বায়ক সাবেক এমপি এন কে আলম চৌধুরী। বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাইফুল ইসলাম নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপি যদি ভোটে আসে তাহলে এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম বিউটি অথবা তার স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন।
অপরদিকে, এই আসনে জামায়াতে ইসলামী জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের নাম ঘোষণা করেছে। চরমোনাই পীর মুফতি মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই আসনে তাদের দলের তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন আব্দুল জলিল, আবু বক্কর সিদ্দিক ও ময়নুল ইসলাম। বাম দলের সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন বাসদ (খালেকুজ্জামান) মো. আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী লাকু বা ইউনুছ আলী। ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম প্রার্থী হতে পারেন। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নীলফামারী জেলা শাখার নেতা শ্রীদাম দাস বলেন, আসনটিতে বাম দলের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী নেই।
নীলফামারী-২ ॥ জেলা সদরের এই আসনটিকে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে জেলা সদর আসনটির মোট ভোটার তিন লাখ ৫৯ হাজার ৯৯২। পুরুষ এক লাখ ৮০ হাজার ৫৯৮ ও মহিলা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৪।
আসনটিতে প্রথম, দ্বিতীয়, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হন। জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা বিজয়ী হন তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম সংসদে। পঞ্চম সংসদে বিজয়ী হয় সিপিবি। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১১ সংসদ নির্বাচনের মধ্যে শুধুমাত্র ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হন। এখানে জামায়াতে ইসলামীর কারণে বিএনপি বিগত সময় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে বারবার হোঁচট খেয়েছে।
আওয়ামী লীগের টানা চারবারের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এই আসনের হাল ধরে ব্যাপক উন্নয়নে মাইলফলক স্থাপন করেছেন। সেজন্য আসাদুজ্জামান নূরকে বলা হয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও এলাকার অভিভাবক। এবারও আসনটিতে নূরের নৌকা প্রতীক নিশ্চিত এমনটাই উঠে এসেছে। তবে আগামী দিনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইয়াহিয়া আবিদ।
এদিকে জাপা থেকে এ কে এম সাজ্জাদ পারভেজ মনোনয়নপ্রত্যাশী। জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল মনোনয়ন প্রত্যাশায় রয়েছেন।
জামায়াতের জেলা নায়েবে আমির ড. মো. খায়রুল আনামের নাম প্রচার পেয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থী তৈরি করেছেন। তারা হলেন হাসিব, আসাদুজ্জামান বিপ্লব ও জহুরুল ইসলাম। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপিতে একজন জনপ্রিয় নেতার নাম শোনা গেলেও সেই নেতা মুখ খুলে কিছু না বলায় ঘোষণা আকারে কেউ নাম প্রকাশ করছেন না।
নীলফামারী-৩ ॥ এগারোটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জলঢাকা উপজেলাটি নীলফামারী-৩ আসনে। আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ১৭৭। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ৭১১, মহিলা এক লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৫ ও তৃতীয় লিঙ্গের একজন । প্রথম, পঞ্চম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। দ্বিতীয় সংসদে মুসলিম লীগ, তৃতীয়, সপ্তম, অষ্টম সংসদে জামায়াতে ইসলামী, নবম ও একাদশ সংসদে জাপার প্রার্থীরা বিজয়ী হন। বিএনপি শুধু ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার পরপর ছয়বারের নির্বাচিত মেয়র ও পৌর মেয়রদের সংগঠন মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) কেন্দ্রীয় সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক সহীদ হোসেন রুবেল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক স¤পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান জেলা জাসদের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম।
আসনটিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে জাপা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন মেজর (অব) রানা মোহাম্মদ সোহেল। আগামী নির্বাচনেও এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। তবে জাপার পক্ষে পুনরায় মনোনয়ন চাইবেন নবম সংসদ নির্বাচনের বিজয়ী সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের।
বিএনপির পক্ষে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চান জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিল্পপতি সৈয়দ আলী, জলঢাকা পৌর বিএনপির সভাপতি আহমেদ সাঈদ ডিডু চৌধুরী ও বিএনপির উপজেলা সভাপতি ফাহমিদ ফায়সাল কমেট। ইসলামী আন্দোলনের তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন সহিদুল ইসলাম, সদর উদ্দিন ও নুরুল হুদা। তাদের দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই তিনজনের মধ্যে একজন দলটির প্রার্থী হবেন বলে জানান জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াছিন আলী। জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী ওবায়দুল্লাহ সালফি। তিনি রংপুর মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি।
নীলফামারী-৪ ॥ সৈয়দপুর ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৪ আসন। ভোটার সংখ্যা বেড়ে এবার হয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৯৭৩। প্রথম ও নবম সংসদে আওয়ামী লীগ, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, তৃতীয়, চতুর্থ ও একাদশ সংসদে জাপা, পঞ্চম সংসদে ন্যাপ মোজাফফর প্রার্থী বিজয়ী হন। আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য মহাজোটের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল। তিনি ছাড়াও আসনটিতে জাপার মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন শিল্পপতি সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ও সৈয়দপুর উপজেলা জাপার আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় রয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টানা দুবারের সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মহসিনুল হক মহসিন, বর্তমান নারী আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, সৈয়দপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোখছেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন, নাফিউল করিম নাফা, আমিরুল ইসলাম আমির, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল।
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। তিনি জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেত্রী। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের ও ঘনিষ্ঠজন বলে তিনি পরিচিত নেতাকর্মীদের মধ্যে। তার বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলায়। বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আরও রয়েছেন সৈয়দপুর বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শওকত হায়াত শাহ, সৈয়দপুর বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান ও বিলকিস ইসলাম স্বপ্না। এ ছাড়া জাপা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদানকারী সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরীর নামও শোনা যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনের দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন মওলানা আমজাদ হোসেন ও মওলানা খায়রুল ইসলাম। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রচার পেয়েছে।