ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সেতুতে দুই গ্রামের সংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সেতুতে দুই গ্রামের সংযোগ

সুন্দরবনসংলগ্ন চুনা খালের ওপর স্বেচ্ছাসেবী যুবদের উদ্যোগে নির্মিত কাঠের সেতু

শ্যামনগর উপজেলার  সুন্দরবন উপকূলীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চুনা খালের ওপরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের যুবাদের উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে তৈরি হয়েছে ১৩৯ ফুট দৈর্ঘ্যরে কাঠের সেতু। আর সেতু তৈরির মাধ্যমে তৈরি হয়েছে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন। কষ্ট লাঘব হয়েছে হাজার হাজার পথচারীর। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চলাফেরা করছে কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার পথচারী। বিদ্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন নির্বিঘেœ যেতে পারছে বিদ্যালয়ে। শুক্রবার এই সেতুটি যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটি তৈরির পূর্বে পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় প্রবীণ-প্রতিবন্ধী এপারের মানুষ ওপারে যেতে পারত না। মসজিদ-মন্দিরে যেতে না পারায় ব্যাহত হতো প্রার্থনা।

দেখা-সাক্ষাৎ না থাকায় দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সামাজিকতা কমে গিয়েছিল। অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে নিয়ে যেতে ঘুরে আসতে হতো আট কিলোমিটার রাস্তা। সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যবৃন্দ। নিজেদের শ্রম বৃথা যেতে না দিয়ে দৃশ্যমান করে তুলেছে কাঠের সেতুটি। ১৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং পাঁচ ফুট প্রস্থের সেতুটির দুই পাশে দেওয়া হয়েছে রেলিং। সিডিও ইয়ুথ টিমের প্রতিষ্ঠাতা গাজী আল ইমরান বলেন, একটি ছোট উদ্যোগ হাজারো মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারে যা এই সেতুটির মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সুন্দরবন কোয়ালিশনের সহযোগিতায় দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে সেতুটি। 

জলঢাকা
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, পাশাপাশি দুটি গ্রাম। কিন্তু চারালকাটা নদীর কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে গ্রাম দুটি। কথায় আছে ইচ্ছে করলে উপায় হয়। তাই জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্র পাঠ ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রাম দুটির বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে নদীর নাওঘাট নামক স্থানে একটি দৃষ্টিনন্দন ২৯০ ফিট দৈর্ঘ্য কাঠের সাঁকো তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। 
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘুঘুমারী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহযোগিতায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে একটি কাঠের সেতু তৈরি করে। দীর্ঘ দুই মাস সময় ধরে সেতুটি তৈরি করা হয়। এতে ২৯০ ফিট দৈর্ঘ্য কাঠের সেতুটি তৈরি করতে সর্বমোট ব্যয় হয় রড সিমেন্টের খুঁটি করে সাত লাখ টাকা যা ২৬ আগস্ট হতে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঘুঘুমারী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্য মোমিনুর রশিদ বলেন, দুই গ্রামবাসীদের ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সকলে চাঁদা তুলে এই কাঠের তৈরি সেতুটি তৈরি করা হয়।

×