
মামলা
বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিরচর মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট আবদুস সাত্তার ও সভাপতি আব্দুল হামিদ সহ ১১জনের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারণে জামালপুরের (বকশীগঞ্জ) সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম সরোয়ার।
জানাগেছে, মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় শুন্য পদে ১ জন আয়া, ১জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের জন্য গত ২ বছর থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আয়া পদে ৩ জন ও নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
গত ১৩ নভেম্বর বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষার আগেই মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিরাপত্তাকর্মী পদে সোহেল মিয়া ও আয়া পদে আজমনি আক্তারকে মনোনীত করেছেন সুপার আবদুস সাত্তার এমন অভিযোগে অন্য প্রার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন।
ফলে বাতিল হয়ে যায় নিয়োগ পরীক্ষা। সুপারের মনোনীত প্রার্থীদেরকে চাকুরি দিতে পরীক্ষা বাতিলের তিনদিনের মধ্যে তড়িঘরি করে আবারো পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টাকা গ্রহণকারী পূর্ববর্তী চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্ঠা লিপ্ত রয়েছে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অপরদিকে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরে অগোচরে গ্রন্থাগার পদে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে জালিয়াতি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেওয়া হয়। শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি অবগত হলে ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত ঐ গ্রন্থাগারে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন। তাছাড়াও ওই সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ সহ অসংখ্য অভিযোগ মামলায় তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখিত অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যাবহার করার অভিযোগে মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুস ছাত্তার সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সহকারি জজ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম সারোয়ার চাকুরী প্রার্থী রাজু আহম্মেদ,শহিদুর রহমান লিপন,আজিজুর রহমান ও আয়া পদে শাহীনা বেগম জানান, আমরা জানতে পেরেছি মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন মাদ্রাসার সুপার আবদুস সাত্তার। তার মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই সাজানো পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তাই আমরা সঠিক বিচার চাই ।
এ ব্যাপারে মালিরচর মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুস সাত্তার বলেন,সকল আবেদন কারীকেই পরীক্ষার জন্য লিখিত ও মৌখিক ভাবে অবগত করা হয়েছিলো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছরোয়ার আলম বলেন, পরীক্ষার দিন কয়েকজন আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।
এমএস