ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের আট ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

বরিশালের আট ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সরকারী ব্রীজের এাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য মালিকানা জমি সড়কে দিয়ে বিপাকে পরেছেন আটজন ব্যবসায়ী। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাকাই বাজারের। আজ বুধবার সকালে ওই বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বকশী, শাজাহান মিয়াসহ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, বাকাই বাজার থেকে ডাসার মাইজপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য বাকাই খালের উপর দীর্ঘদিন পূর্বে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের এ্যাপ্রোচ সড়ক তাদের ব্যক্তিগত বাকাই মৌজার ৫১নং দাগের জমির উপর দিয়ে নির্মাণ হওয়ায় বাজারের আটজন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে ওই আটজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে পূর্ণবাসনের জন্য বাকাই মৌজার ৫২ নং দাগের খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের জমি থেকে পাঁচ শতক জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সেই থেকে তারা ওই জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরইমধ্যে ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে ৫৩ নং দাগের জমির মালিক সহিদ ফকিরের। সহিদ ফকির ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদন করেন। সহিদ ফকিরের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরেজমিন তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই আটজন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ না করার জন্য আদেশ দেয়া হয়। ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম আরও জানান, অতিসম্প্রতি তার দোকান ঘরের মেরামত করা প্রয়োজন হলে তিনি শ্রমিক নিয়ে দোকান মেরামতের কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাকেসহ ওই আটজন ব্যবসায়ীকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে তাদের দখলকৃত ৫২নং এবং সহিদ ফকির তার মালিকানাধীন ৫৩নং দাগের জমির উপর আদালত থেকে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে গৌরনদী মডেল থানা থেকে গত ১৪ অক্টোবর নোটিশ প্রদান করার পর দোকান মেরামতের কাজ বন্ধ রাখা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশে তারা দোকান মেরামতের কাজ বন্ধ রাখলেও মামলার বাদি সহিদ ফকির আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৫৩ নং দাগের জমির উপর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত করে সহিদ ফকিরের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই আট ব্যবসায়ী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করার যথাযথ প্রমান পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×