ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী মিশন ঘুরিয়েছে তার পরিবারের ভাগ্যের চাকা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৮ আগস্ট ২০১৮

প্রতিবন্ধী মিশন ঘুরিয়েছে তার পরিবারের ভাগ্যের চাকা

কোন বাধাই থামাতে পারেনি মাগুরার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মিশনের অগ্রযাত্রাকে। মিশন মোল্লা সেলাইয়ের কাজ করে মাত্র ২০ বছর বয়সে ঘুরিয়েছে তার নিজের এবং পরিবারের ভাগ্যের চাকা। মাগুরা সদর উপজেলা এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া মিশন ছোটবেলা থেকেই শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল তার বাবা। তাই সন্তানকে বিশেষ কোন স্কুলে পাঠাতে পারেননি তিনি। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি অদম্য আগ্রহ মিশনের ছোটবেলা থেকেই। নিজ ইচ্ছায় যেতে শুরু করে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু আর্থিক দৈন আর শারীরিক সীমাবদ্ধতা এগোতে দেয়নি তার শিক্ষা জীবনকে। প্রাইমারীর গ-ি পার হয়েই তাকে ইতি টানতে হয় শিক্ষা জীবনের। তারপর থেকেই মিশন পার করছিল এক মন্থর ও বন্ধুর সময়। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তার সঙ্গে কেউই মিশতে চাইত না। অন্যদিকে দিনমজুর বাবা তার ভরণ-পোষণ দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। ২০১৭ সালে প্রথম দিকে মিশন জানতে পারে ব্র্যাক প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হতে কোন অর্থ লাগে না। বরং প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা দেয়া হয়। মিশন লুফে নেয় এই সুযোগ। ব্র্যাকের এই প্রশিক্ষণ পাল্টে দেয় তার জীবন। স্থানীয় গাংনালিয়া বাজারের একটি টেলারিং শপে মিশনের কর্মজীবন শুরু হয় ব্র্যাকের সহযোগিতায়। শুরুতে তার মাসিক রোজগার হতো ২০০০ টাকার মতো। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। -সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা থেকে
×