ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাপে পড়ে কর্মীদের বহাল করলো লিভারপুল

প্রকাশিত: ০১:০১, ৭ এপ্রিল ২০২০

চাপে পড়ে কর্মীদের বহাল করলো লিভারপুল

অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের কারণে ফুটবলের সমস্ত সূচি স্থগিত হয়ে আছে ১৩ মার্চ। কবে করোনা সংকট থেকে পৃথিবী মুক্তি পাবে আর কবে আবার ফুটবল মাঠে ফিরবে কেউ বলতে পারবে না। সব বড় বড় ফুটবল ক্লাব যেমন বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, লিভারপুলও ব্যতিক্রম নয়। তাই গত শনিবার ইউরোপ সেরা ইংলিশ ক্লাবটি তাদের খেলার বাইরের প্রায় ২০০ কর্মীকে সাময়িক ছুটি (ফারলাউ) দিয়ে দিয়েছিল। এই সময়টায় কর্মীদের বেতনের শতকরা ২০ ভাগ দেওয়ার কথা, ‘জব রিটেনশন পলিসি’ অনুযায়ী বাকি ৮০ ভাগের দায়িত্ব বর্তায় সরকারের ওপর। এই সাময়িক ছুটি ঘোষণার পর পরই লিভারপুল যেন সমালোচনার জ্বলন্ত মুখগুলো খুলে দেয়। চারদিক থেকে ক্লাবটির বিরুদ্ধে তিনদিন ধরে চলে নেতিবাচক সমালোচনা। অবশেষে সোমবার এই সাময়িক ছুটি বাতিল করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত বদলের সঙ্গে ক্লাবের সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী পিটার মুরস, ‘ আমরা বিশ্বাস করি যে গত সপ্তাহে আমরা একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সেজন্য সত্যি আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ মুরস জানিয়েছেন এই কর্মীদের বেতন দিতে বিকল্প উপায় খুঁজে দেখবে ক্লাব। লিভারপুল এখন বিশ্বের সপ্তম ধনী ক্লাব। গত মৌসুমে কর ছাড়া তাদের লাভ হয়েছে ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। তারপর কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, সিনিয়র খেলোয়াড় জর্ডান হেন্ডারসন, জেমস মিলনার, ভার্জিল ফনডাইক, জর্জিনিয়ো ভাইনালডামরা এই সংকটকালে স্বেচ্ছায় বেতন কম নিতে চেয়েছেন। তা সত্ত্বেও কর্মীদের সাময়িক চাকুরিচ্যুতির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি অনেকেই। সবচেয়ে বড় সমালোচনাটা আসে ক্লাবের প্রয়াত কিংবদন্তি ম্যানেজার বিল শ্যাঙ্কলির নামে গড়ে ওঠা দ্য স্পিরিট অব শ্যাঙ্কলি সাপোর্টার্স ইউনিয়নের তরফে। তারা প্রধান নির্বাহী পিটার মুরস, আসলে পরোক্ষে ক্লাবের আমেরিকান মালিকপক্ষ ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের কাছে ব্যাখ্যা চায়। ঐতিহ্যবাহী লিভারপুলের এটি পদস্খলন, এমনটা দাবি করে সমালোচনা করেন লিভারপুলের সাবেক ফুটবলার জেমি ক্যারাঘার ও স্ট্যান কোলিমোর। লিভারপুলের স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য ড্যান কার্ডেন ও ইয়ান বায়ার্ন এবং লিভারপুলের মেয়র জো অ্যান্ডারসন কথা বলেন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে। আর তারপরই ক্লাব মালিক এফএনজি গ্রুপ ঘুরে যায় ১৮০ ডিগ্রি।
×