ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বুলবুলের প্রভাবে পেঁয়াজের দাম ফের বাড়ছে

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১২ নভেম্বর ২০১৯

বুলবুলের প্রভাবে পেঁয়াজের দাম ফের বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আরেক দফা বাড়ল পেঁয়াজের দাম। বর্তমান প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছিল সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কিন্তু বুলবুলের প্রভাবে আবারও সেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। জানা গেছে, চলতি সপ্তায় মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে। এ কারণে আগেই বন্দর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পেঁয়াজ ছাড়করণে অনুরোধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজের ৫ টন সম্প্রতি দেশে আনা হয়। এছাড়া দেশেও নতুন পেঁয়াজ দেখা যায় বাজারে। কিন্তু বুলবুলের প্রভাব ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশেও পেঁয়াজের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি ট্রাকসেলে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। এতে স্বল্প আয়ের ক্রেতারা সস্তায় পেঁয়াজ কিনতে পারছে। এদিকে, আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে ঢুকলে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মোঃ জাফর উদ্দীন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের পথে রয়েছে। ওই পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমে যাবে। এর পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ উঠবে এ মাসেই। এছাড়া ভারতের রফতানি বাজার চালুর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সরকারী এসব উদ্যোগের ফলে আশা করছি পেঁয়াজের দাম হ্রাস পাবে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজ খালাস হতে পারেনি। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ফলে সাময়িক সময়ের জন্য আবার দাম বেড়ে গেছে। তবে ঝড় কেটে যাওয়ায় এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে। দাম বাড়ার কারণ সাময়িক বলে তিনি জানান।
×