ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ড্র পছন্দ হয়নি, তাই অভিমানে নাম প্রত্যাহার আবাহনীর!

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

ড্র পছন্দ হয়নি, তাই অভিমানে নাম প্রত্যাহার আবাহনীর!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের আগের দুই আসরেই খেলেছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। এবার শনিবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া তৃতীয় আসরেও খেলার কথা ছিল আকাশী-হলুদ জার্সিধারীদের। হয়ত আগের ব্যর্থতা ছাপিয়ে ভাল করার বাসনাই ছিল। কিন্তু আচমকাই নাম প্রত্যাহার করে নেয় ধানমন্ডি পাড়ার ক্লাবটি। হঠাৎ করে আবাহনীর এমন সিদ্ধান্তে যেন মাথায় বাজ পড়ে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর। তড়িঘড়ি করে তারা আমন্ত্রণ জানায় ভারতের গোকুলাম কেরালাকে। কিন্তু আচমকা হওয়ায় গোকুলাম ও আয়োজক দুই পক্ষকেই বেজায় কাহিল হতে হয়েছে। কেননা অল্প সময়ে এএফসির ছাড়পত্র পাওয়া ছাড়াও আনুষাঙ্গিক আরও বিষয় ছিল। যে কারণে টুর্নামেন্ট শূরুর দিন সন্ধ্যা নাগাদও গোকুলাম চিটাগাং এসে পৌঁছতে পারেনি। এমন হযবরল অবস্থা হতো না যদি ঢাকা আবাহনী নাম প্রত্যাহার না করতো। সবচেয়ে অদ্ভূত বিষয়, তারা না খেলার বিষয়টি আয়োজকদের অফিসিয়ালি জানায়নি। এ নিয়ে চারিদিকে অসন্তোষও দেখা গেছে। ঠিক কি কারণে ঢাকা আবাহনী হঠাৎ সরে গেল? এখন এই আলোচনা ফুটবলপাড়ায়। জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর ঢাকার অভিজাত হোটেলে হওয়া গ্রুপিং পদ্ধতি পছন্দ হয়নি ছয়বারের পেশাদার লীগ চ্যাম্পিয়নদের। এমন ফিসফাসই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আবাহনীর গ্রুপ কঠিন হওয়াতেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে! ড্রতে ‘বি’ গ্রুপে আবাহনীকে খেলতে হতো বাংলাদেশ পেশাদার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের চেন্নাই সিটি ও মালয়েশিয়ার তেরাঙ্গানোর বিরুদ্ধে। কি হয়েছিল ড্রতে? সাধারণ ড্র হয়ে থাকে সব দল নিয়েই। কিন্তু ড্রতে আট দলের মধ্যে দুই গ্রুপে দু’টি করে দল আগেই ঠিক করে রাখে আয়োজকরা। বাকি চারটি দলকে ড্রতে দুই গ্রুপে দেয়া হয়। এতেই গোস্বা হয়েছে আবাহনীর। মূলত অর্ধেক দল আগেই গ্রুপে রেখে দেয়াটা তাদের মোটেও পছন্দ হয়নি। শেখ কামাল ফুটবলে দেশের সেরা ক্লাবের না খেলার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৫ সালের প্রথম আসরে খেলেনি ওই সময়ে দেশের সেরা ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি লিমিটেড। এবার ঢাকা আবাহনীর এমন সিদ্ধান্তে হতাশ আয়োজকরা। এ বিষয়ে শনিবার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের আয়োজক কমিটির সহসভাপতি আ জ ম নাসির বলেন, ‘ঢাকা আবাহনী কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমরা জানিনা। তারা আমাদের কিছু জানায়নি। তবে শেষ মুহূর্তে তাদের না খেলাটা দুঃখজনক।’ আবাহনী না খেলায় টুর্নামেন্টের আকর্ষণ ও সৌন্দয্যে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে আ জ ম নাসির বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তাদের বদলে যারা এসেছে (গোকুলাম কেরালা) তারা যদি তাদের সমমানের কিংবা তাদের চেয়ে ভাল হয় তাহলে হয়ত টুর্নামেন্টের আকর্ষণ আরও বাড়বে। তবে এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না হয় সেদিকে আমরা যত্নবান হবো।’
×