ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নোটিশ দিয়েও সংসদে থাকেন না সংসদরা

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

নোটিশ দিয়েও সংসদে থাকেন না সংসদরা

সংসদ রিপোর্টার ॥ জরুরি জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষনের নোটিশ দিয়ে অধিবেশনে এমপিদের গরহাজির ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নোটিশ দিলেও অধিবেশনে থাকেন না সংসদ সদস্যরা। কার্যপ্রণালী বিধির (বিধি-৭১) আওতায় প্রায় প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন সংসদ সদস্য নোটিশ জমা দেন। নোটিশের ওপর দুই মিনিটের বক্তব্যে রাখতে স্পীকার সংসদ সদস্যদের সুযোগ দেন। কিন্তু রবিবার নোটিশদাতা ১৫ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১১ জনই ছিলেন অনুপস্থিত। একজন সংসদ সদস্য যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নোটিশ দেওয়ার বিধান রয়েছে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে। নোটিশে ওই সংসদ সদস্য মন্ত্রীর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জবাবও পেতে পারেন। রবিবার রাতে সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ করে স্পীকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া বিধি-৭১-এর আওতায় আনিত নোটিশের ওপর আলোচনার জন্য সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে থাকেন। ১৫ জন নোটিশ দাতার মধ্যে ১১ জনই ছিলেন অনুপস্থিত। রবিবার নোটিশ দিয়ে অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, গাজী গোলাম দস্তগীর, দিদারুল আলম, নজরুল ইসলাম বাবু, এম আব্দুল লতিফ, পঙ্কজ নাথ, মনিরুল ইসলাম, উম্মে রাজিয়া কাজল, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর এবং জাসদ দলীয় সংরক্ষিত সদস্য লুৎফা তাহের। আলোচনা করেন শুধু নবী নেওয়াজ , পিনু খানসহ মোট চারজন। জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ নোটিশ (বিধি-৭১) এর আওতায় বিধির বিধান সাপেক্ষে স্পীকারের অগ্রিম অনুমতিক্রমে কোন সদস্য যে কোন জরুরী জন গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ের প্রতি কোন মন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন এবং মন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিতে পারবেন কিংবা পরবর্তী কোন সময়ে বা তারিখে বিবৃতিদানের ইচ্ছা জ্ঞাপন করতে পারবেন। উক্ত বিধানে শর্তজুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে- কোন সদস্য যে কোন এক বৈঠকে একাধিক অনুরূপ নোটিশ দিতে পারবেন না। মন্ত্রী বিবৃতিদানের পর বিষয়টি গুরুত্ব অনুযায়ী কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে তদসম্পর্কে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। এভাবে স্পীকারের অনুমতি নিয়ে অনেক কষ্ট করে সংসদ সদস্যরা নোটিশ দিয়েও সংসদে অনুপস্থিত থাকায় অনেক সময় স্পীকার, ডেপুটি স্পীকারকে সংসদ অধিবেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
×