ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন নেই

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী,বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীদের কোন ভ্যাকসিন নেই। সাড়ে তিন কিলোমিটার পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে বরগুনা জেলা শহরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন দিয়ে আসতে হয়। এতে দুর্ভোগে আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষ। জানাগেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় গত দুই মাসে তিন শতাধিক মানুষকে কুকুরে কামড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। গত অক্টোবর মাসে আমতলী উপজেলার ঘোপখালী গ্রামে একই দিনে ২৫ জনকে কুকুরে কামড়িয়ে আহত করে। এর মধ্যে আবুল বাশারকে যথা সময়ে ভ্যাকসিন করাতে না পারায় সে মারা গেছে। কুকুরে কামড়ানো রোগী চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জেলা শহরের হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। উপায় না পেয়ে রোগী স্বজনরা রোগী নিয়ে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চলে যায়। জেলা শহরের হাসপাতালে স্বপ্ল মূল্যের ভ্যাকসিন দেড় থেকে দুই শত টাকায় কিনতে হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগীর স্বজনরা বাহির থেকে উচ্চ মূল্যে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। বাজারেও সব সময় ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকে না। ফলে বিপাকে পরে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় দীর্ঘ মেয়াদি এ চিকিৎসায় রোগীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। রোগীর স্বজনরা কুকুরে কামড়ানো রোগের ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে জোড় দাবী জানান। তালতলীর গাবতলী গ্রামের কুকুরে কামড়ানো রোগী শানু ও মাজহারুল জানান, আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না পেয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে আসছি। একই গ্রামের রোগী রমজান কাজী জানান, দীর্ঘ মেয়াদি এ চিকিৎসা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে আসতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। এ ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহের দাবী জানাই। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডাঃ আবদুল মতিন বলেন কুকুরে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আওতায় পরে না। আমার ২৭ বছরের চাকুরী জীবনে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ পাইনি। এ ভ্যাকসিন পৌরসভায় থাকার কথা। আমতলী পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে , গত ১ বছর ধরে পৌরসভায় কোন ভ্যাকসিন নেই। আমতলী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান গত এক বছর ধরে আমতলী পৌরসভায় কুকুরে কামড়ানো রোগীর কোন ভ্যাকসিন নেই। বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন উপজেলা পর্যায়ে কুকুরে কামড়ানো রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই, স্বাস্থ্য বিভাগ শুধু জেলা পর্যায়ে সরবরাহ করে থাকে। তিনি আরো বলেন মানুষের দূর্ভোগ বিবেচনা করে উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হবে।
×