ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিমানবন্দর এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশী নিরাপত্তা ঝুঁকিতে, এটি সত্য নয় ॥ বিমানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকা বিমানবন্দর এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশী নিরাপত্তা ঝুঁকিতে, এটি সত্য নয় ॥ বিমানমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ এশিয়ার মধ্যে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সবচাইতে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে এ অভিযোগ সত্য নয়। বিমানবন্দরে যে কোন ধরণের হামলা প্রতিরোধে এবং সার্বিক নিরাপত্তা উন্নয়নে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেডকে নিরাপত্তা পরামর্শক হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেগম মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বিগত ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী ঘটনা যেমন মিশরের সিনাই উপত্যকায় মেট্টো জেট বোমা হামলা, মুগাদিসুতে ডালো এয়ারলাইন্সে ল্যাপটপ বোমা হামলা, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস বিমানবন্দরে সুইসাইড বোমা হামলা এবং তুরস্কের কামাল আতার্তুক বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী এভিয়েশন সেক্টরে ঝুঁকি এখন উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশে বিমানবন্দরসমূহের সেফটি এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে জাইকার অনুদান অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় এ বিমানবন্দরের জন্য ৭টি এক্সেপ্লোসিভ ট্রেচ ডিটেক্টর (ইটিডি), একটি এন্ট্রি এক্সপ্লোসিভ কনটেইনার, দুইটি ফায়ার ভেহ্যিকেল, ৫টি হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ২টি কেবিন ল্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন ও ১৯টি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম ক্রয় ও সংস্থাপন করা হয়েছে এবং বর্তমানে অপারেশনে রয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে সিসিটিভি কভারেজ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি জানান, ডিজিটাল সিসিটিভি মনিটরে মাল্টিপল ফ্রেমে ছবি প্রদর্শন করায় একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ক্যামেরার ছবিগুলো মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে কোন এলাকায়/স্থাপনায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছেন। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বিমান বর্তমানে ১৫টি আন্তর্জাতিক ও ৭টি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতে গুয়াংজু, মালে এবং কলম্বো রুটে ফ্লাইট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিমান বহরে নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন সাপেক্ষে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণসহ এ বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চ্যাত্যের হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে সাইট সিলেকশনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
×