ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মিসরের পিরামিড নির্মাণের রহস্য ‘উন্মোচন’

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিসরের পিরামিড নির্মাণের রহস্য ‘উন্মোচন’

অনলাইন ডেস্ক ॥ মিসরের পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, সে রহস্যের জট অদ্যাবধি খোলা সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি দেশটির কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, তাঁরা সেই রহস্যের জট অনেকটাই খুলতে সক্ষম হয়েছেন। দি ইনডিপেনডেন্ট ও নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, দীর্ঘ গবেষণার পর প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, মিসরের কায়রোর অদূরে নীল নদের পশ্চিম তীরের শহর গিজায় পিরামিড তৈরিতে এক লাখ ৭০ হাজার টন ওজনের চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলো নদীপথে নৌকায় করে আনা হয়। এই বিশাল পাথর বহনের উদ্দেশ্যেই ওই সময় তৈরি করা হয় বিশেষ ধরনের নৌকাগুলো। আর সেই নৌকা দিয়ে নীল নদের তীরে অবস্থিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শহর অসান থেকে প্রায় ৫৩৩ মাইল বহন করে গিজায় পাথরগুলো পরিবহন করা হয়। আর এভাবেই তৈরি হয় চার হাজার বছর আগে মিসরের সম্রাট কুফুর পিরামিড। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, নীল নদ দিয়ে এই বিশালাকার পাথর বহন করে নিয়ে আসতে কাজ করেছিল হাজার হাজার প্রশিক্ষিত শ্রমিক। তাঁরা আরো বলেন, পিরামিড পরিবহনে ব্যবহার করা কিছু নৌকা ও তাতে ব্যবহৃত দড়ির সন্ধানও তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলোর অবস্থা এখনো অনেক ভালো। পিরামিড নির্মাণের রহস্য উন্মোচন বিষয়ে চ্যানেল ফোর ‘ইজিপ্টস গ্রেট পিরামিড : দ্য নিউ এভিডেন্স’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। সেই প্রামাণ্যচিত্রে পিরামিডের নির্মাণ নিয়ে কাজ করা দলের তত্ত্বাবধায়ক পিয়ার টেল বলেন, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে তার জোরালো প্রমাণ, তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে।’ তবে পিরামিড তৈরির রহস্য আবিষ্কারের এই দাবির বিরোধিতা করেছেন গিজায় কাজ করা অন্য অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক। তাঁদের দাবি, বিশালাকার পাথর নদীপথে আনা ওই সময় সম্ভব ছিল না।
×