ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মান্দায় নারীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:৪০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মান্দায় নারীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খানের বিরুদ্ধে হাসনা হেনা ওরফে সাথী (৩৮) নামে এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার দোসতীনা-কালিকাপুর গ্রামের মৃত হারুন রশিদের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেলে সাথী উপজেলার ভেবড়া গ্রামে নয়ন কুমারের (দর্জি) সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী মোটরসাইকেল ভেবড়া মোড়ে পৌঁছলে কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনকে সংবাদ দেয়। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পৌছে অতর্কিতভাবে তাকে মারপিট শুরু করে। এসময় ওই যুবকরাও সাথীকে মারপিট করে। পরে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন সাথী জানান, পরিষদে নেয়ার পর চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান তার জবানবন্দি না শুনেই বাঁশের লাঠি দিয়ে আবারো পেটাতে থাকে। পরিষদের একটি কক্ষে আটক রেখে তাকে যৌনকর্মি আখ্যা দিয়ে দফায় দফায় পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয় তার বাম হাত। থেতলে দেয়া হয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশ। বিবস্ত্র অবস্থায় তার ওপর এ অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এসএম সিয়াম হাসান জানান, রোগির শরীরের থেতলে যাওয়া অংশগুলোতে রক্ত জমাট বেঁধেছে। ফেটে গেছে বাম হাতের হাড্ডি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে এদিন বিকেলে আহত সাথীর ধর্মবোন শহিদা মুঠোফানে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই সাথীকে মেরেছে। তবে ওই নারীকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান বলেন, স্থানীয় কয়েকজন যুবক সাথীকে আটক করে মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে রাতেই তাকে উদ্ধার করে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, বুধবার ভোরে একটি রিকশাভ্যানে সাথীকে থানায় পৌঁছে দেন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান। সেসময় তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তবে চেয়ারম্যান মেরেছে এমন অভিযোগ তিনি শোনেননি। পরে ইউপি সদস্য আকতারুজ্জামান বুলবুলের জিম্মায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
×