ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুর সিটিতে ৫ বছরে ২৯১ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০২:০২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রংপুর সিটিতে ৫ বছরে ২৯১ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২শত ৯১ কোটি টাকা ব্যয় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসবের মধ্যে রাস্তা, কালভার্ট, ড্রেন, শৌচাগার, উচ্চ জলধারা নির্মাণ, সিটি ভবন সম্প্রসারণ, বিনোদন পার্ক নির্মাণ ও হাসপাতাল স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। আর বাস্তবায়ন অপেক্ষাধীন আছে ৩৯১ কোটি টাকার কাজ। সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে দেশের মধ্যে একটি মডেল সিটি করপোরেশন হিসেবে এই সিটি করপোরেশনটি পরিগণিত হবে। উন্নয়ন চিত্র সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ বছর ৯ মাসে ৩৮৯.৪২ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৮০ কিলোমিটার কালভাট, ড্রেন ১৯০. ৪০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে। কমিউনিটি শোচৗগার নির্মিত হয়েছে ১৮টি। রংপুর মহানগরীতে ৫৪টি বস্তি রয়েছে। এসকল বস্তিবাসির মান উন্নযনে জাইকা ও সিটি কাজ করছে। পরিবহণ ব্যবস্থায় আনা হয়েছে আধুনিকায়ন। ময়লা ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু ও সহজ করতে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ২হাজার ৮শত ৫০টি ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। আর ১০টি পাবলিক শৌচাগার রয়েছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য ২ শত ৩৫টি নলকুপ আছে। ১৭৮. ৭১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। মেরামতের তালিকায় ব্রিজ ও কালভাট রয়েছে। সম্প্রসারন করা হয়েছে ২২ কিলোমিটার পানির লাইন । ৩টি উচ্চ জলধারা বসানো হয়েছে। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে । আর সিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সিটির মধ্যে। সড়ক বাতির উন্নয়নে কাজ হয়েছে বেশ টাকার। সিটির নতুন ভবন ও পুরাতন ভবন সম্পসারণ করা হয়েছে। ফুটপাত করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার। স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে ৪টি। কালভার্ট ১৩৫ আর১টি মৎস্য আড়ত নির্মিত হয়েছে। ৭ একর জমিও ক্রয় করার পর সিটির এলাকা বেড়েছে। বেশ দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নির্মাণ করেছে বিনোদন পার্ক। স্থাপন করা হয়েছে হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিান্নজনকে দেয়া হয়েছে ভাতা। এদিকে সুষ্ঠু ময়লা ব্যবস্থার জন্য ৩০ নং ওয়ার্ডের নাছনিয়া এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে কম্পোষ্ট পয়েন্ট। পুরো সিটি করপোরেশন জুরে রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য সিআরপি শাখা খোলা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পানি শৌধানাগার। নগরীর শ্রী বৃদ্ধির জন্য নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া চত্বরসহ কয়েকটি চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে। নগরীর চাহিদা বিবেচনায় সোকওয়েল এবং সেপটিক ট্যাংক পরিস্কারের জন্য রংপুর সিটি করপোরেশনে কনজারভেন্সি শাখায় অত্যাধুনিক ভ্যাকুয়াম ট্রাংকার সংযোজন করা হয়েছে। এতে করে যত্রতভাবে সেপটিক ট্যাংকের ময়লা ফেলার প্রবণতা রোধ হয়েছে। পরিবেশ বান্ধন ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ জানান, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২শত ৯১ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৩শত ৯১ কোটি টাকার কাজ অপেক্ষাধীন রয়েছে। এ কাজ হলে নগর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ।
×