ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি জোটের কালো তালিকায় তিন দেশের নয় ব্যক্তি

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৬ জুলাই ২০১৭

সৌদি জোটের কালো তালিকায় তিন দেশের নয় ব্যক্তি

সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইয়েমেন, কাতার ও লিবিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তারা সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের সন্দেহ, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামী উগ্রবাদীদের যোগসাজশ রয়েছে। খবর এএফপির। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাতারের সঙ্গে যুক্ত এমন নয়টি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও একই সংখ্যক ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। গত মাসে এই চার আরব দেশ ইসলামী জঙ্গীদের অর্থ যোগানের অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। যদিও কাতার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। প্রতিবেশী আরব দেশগুলো দোহা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার এবং তাদের আকাশ পথে কাতারের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এসব দেশে বসবাসরত কাতারী নাগরিকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিয়াদ ও তাদের আরব মিত্রদের দাবি ছিল, কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। যদিও সৌদি আরব ও আমিরাতে চ্যানেলটি সম্প্রচার আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবারের বিবৃতিতে তাদের অভিযোগ, ইয়ামেনের তিন ও লিবিয়ার ছয় প্রতিষ্ঠানের আল কায়েদাসহ সিরিয়ার একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। এছাড়া তিন কাতারী, তিন ইয়ামেনী, দুই লিবীয় ও এক কুয়েতী নাগরিক সিরীয় সালাফি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জাবাহাত আল নুসরার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। তবে কাতারকে একঘরের করার চেষ্টায় অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে যোগ না দিয়ে সঙ্কট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কুয়েত। ১৯৮১ সালে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর এটাকে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সঙ্কট হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইয়েমেন সরকারের সমর্থনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১৫ সালে হুতিদের সঙ্গে ইয়েমেন সরকারের লড়াইয়ে সৌদি জোট হস্তক্ষেপ করার পর এ পর্যন্ত দেশটিতে আট হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
×