ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দপ্তরির সঙ্গে সম্পর্কে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২১ জুলাই ২০১৭

দপ্তরির সঙ্গে সম্পর্কে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা কিশোরীকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। কিশোরীকে পিটিয়ে আহত ও মৃত নবজাতককে মাটি না দিয়ে কার্টুনে তিন দিন ভরে রেখে দেয় প্রভাবশালী এক পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে আমখাওয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরীটি জানায়, সে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তার সঙ্গে আমখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী ফারুকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই দপ্তরি। পরে কিশোরীটি গর্ভবতী হলে বিয়ের চাপ দেয়া হয় ফারুককে। সে বিয়ে নিয়ে তালবাহানা শুরু করে ফারুক। দেখতে দেখতে সাত মাস চলে যায়। গত সোমবার কিশোরীকে চিকিৎসার কথা বলে দেওয়ানগঞ্জ নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খাওয়ানো হয়। মঙ্গলবার কিশোরীর সন্তান প্রসব হয়। সন্তানের পরিচয় ও বিয়ের দাবিতে বুধবার আমখাওয়া গ্রামে ফারুকের বাড়িতে যায় ওই কিশোরী। সেখানে ফারুকের বড় ভাই শালু এবং স্ত্রী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। কিশোরীর মা জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ফারুকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তিনি জানান, মৃত নবজাতকটিকে এখনও কার্টুনে করে রাখা হয়েছে, মাটি দেয়া হয়নি। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ওই কিশোরী। স্থানীয় আমখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মামুন জানান, তার বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ফারুকের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। কিশোরীটির সঙ্গে ফারুকের সম্পর্ক মামাতো-ফুফাত ভাই-বোন বলে তিনি জানতেন। দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাব্বির জানান, ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। তার রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। গর্ভপাত হওয়ায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তার ভাল চিকিৎসার প্রয়োজন।
×