ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৪০ বছর পর চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেটিক বিলবাও

​​​​​​​স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০১, ৭ এপ্রিল ২০২৪

৪০ বছর পর চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেটিক বিলবাও

.

দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ বার্সিলোনা এবার আগেভাগেই বিদায় নেয়। রিয়ালের বিদায় হয় শেষ ষোলোতে। আর বার্সা তল্পিতল্পা গোছায় শেষ আটে। এর ফলে দুই জায়ান্টের বাইরে অন্য দলের শিরোপা জয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। অবশেষে সেটাই হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্প্যানিশ কোপা ডেল রে ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাও। শনিবার রাতে ফাইনাল মহারণে ভাগ্যনির্ধারণী পেনাল্টি শূটআউটে মায়োর্কাকে - গোলে হারিয়ে কৃতিত্ব দেখিয়েছে বিলবাও। এর আগে দুদলের নির্ধারিত ৯০ মিনিট অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা - গোলে অমীমাংসিত থাকে।

সেই ১৯৮৪ সালের পর আবার কোপা ডেল রের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে বিলবাও। কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ কেমন যেন ভুলেই গিয়েছিল দলটি। চার দশক ধরে যে কোনো ট্রফির ছোঁয়া পায়নি তারা। অবশেষে ৪০ বছরের সেই খরা কাটিয়ে শিরোপার আলোয় উজ্জ্বল হতে পেরেছে বিলবাও। সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কোপা ডেল রে লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বিলবাও। সেই সময় কোপা ডেল রের সফলতম ক্লাব ছিল তারাই। সেটি ছিল তাদের ২৩তম শিরোপা। এই আসরে তখন বার্সিলোনার শিরোপা ছিল ২০টি আর রিয়াল মাদ্রিদের ১৫টি। সেখান থেকে এই টুর্নামেন্টে এখন বার্সিলোনার ট্রফি সর্বোচ্চ ৩১টি। রিয়ালের শোকেসে আছে ২০টি ট্রফি। অথচ ২৩ ট্রফি থেকে ২৪ নম্বর হতে বিলবাওয়ের লেগে গেছে ৪০ বছর। এরপরও অবশ্য আসরের দ্বিতীয় সেরা দল তারা।  

মাঝের সময়টায় বার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই হেরে গেছে বিলবাও। ২০১২ সালে হেরেছে উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালও। হৃদয়ভাঙা অনেক অভিজ্ঞতার পর অবশেষে এবার এসেছে আনন্দের জোয়ার। সেভিয়ার মাঠ লা কার্তুজার ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। মাঠের ৫০ হাজার দর্শকই ছিলেন বিলবাওয়ের। তারা মাঠ ছেড়েছেন স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী হয়ে। মাঠের খেলায় বিলবাওয়ের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচে ৬৯ শতাংশ বলের দখল রেখে ৩০টি শট নেয় বিলবাও। বিপরীতে ৩১ শতাংশ বলের দখল রাখা মায়োর্কা নেয় ১৩ শট। বলের দখল আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও গোল আগে মায়োর্কাই পায়। ২১ মিনিটে স্পেনের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল রড্রিগুয়েজ গোল করে এগিয়ে দেন মায়োর্কাকে। প্রথমার্ধ পিছিয়ে থেকেই শেষ করে বিলবাও। বিরতির পর ৫০ মিনিটে স্পেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার অইহান সানচেটের গোলে সমতায় ফেরে বিলবাও।

এরপর নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত দাপট দেখিয়েও জয়সূচক গোলটি আদায় করতে পারেনি বিলবাও। টাইব্রেকারে বিলবাওয়ের প্রথম চার খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই গোল করেন। কিন্তু মায়োর্কার মানু মোরলানেস নেমানিয়া রাদোনিক গোল করতে ব্যর্থ হন। মোরলানেসের শট বিলবাও গোলরক্ষক জুলেন আগিরেবালা ফিরিয়ে দেন। আর বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন রাদোনিক।

এর ফলে শিরোপা জয়ের হাসি হাসে বিলবাও। ম্যাচে দারুণ খেলে বিলবাওয়ের শিরোপার জয়ের অন্যতম নায়ক নিকো উইলিয়ামস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। দলকে শিরোপা জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত উইলিয়ামস বলেন, এটা অবিশ্বাস্য; আমরা ইতিহাস গড়েছি। দল অনেক পরিশ্রম করেছি। সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এটা তাদের প্রাপ্য। আমি অনেক দিন ধরে এটির স্বপ্ন দেখে আসছিলাম। উল্লেখ্য, ইতিহাস গড়া সাফল্যের পথে বিলবাও কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সিলোনাকে - গোলে পরাজিত করে। এর পর সেমিফাইনালে দুই লেগেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনাল মঞ্চে উঠে আসে।

×